আজ অনুষ্ঠিত হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা দিতে আজ গিয়েছিলেন বহিষ্কৃত টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। তবে স্বচ্ছতা ইস্যুতে তিনি বলেন, 'এখনও আশা রাখছি।' এদিনে রাজন্যা বলেন, 'আমি আগের দিনও পরীক্ষা দিয়েছি। দেখলাম বাবা তাঁর সন্তানকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, মা পরীক্ষার লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। এটা দেখে সত্যি আমার চোখে জল এসেছে। আমরা যাঁরা সাধারণ ডিগ্রি কোর্স করেছি, কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি তাঁরা তো এটা দেখব বলে পড়াশোনা করিনি। আগামীদিনে এই পরীক্ষার রেজাল্টে যেন সেটা না হয়।'
রাজন্যার স্পষ্ট কথা, 'আমি চান্স পাই কী না পাই, সেটা তো আমার মেরিট উত্তর দেবে। কিন্তু আমি চাই এই পরীক্ষার রেজাল্ট পরীক্ষার্থীদের যোগ্যতার উপর নির্ভর করে হোক। স্বচ্ছতার উপর নির্ভর করে হোক।' এদিকে পরীক্ষা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ইস্যুতে তিনি আরও বলেন, 'আশা রাখার চেষ্টা করছি। এদিন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পরীক্ষা দিচ্ছে। আশা রাখার চেষ্টা করছি বলেই হাজার হাজার মানুষের মতো আমিও পরীক্ষা দিচ্ছি। আমার শিক্ষকগত যোগ্যতা পরিমাপের জন্য নয়, চাকরির জন্য পরীক্ষা দিতে এসেছি।'
উল্লেখ্য, আজ ২ লক্ষ ৪৬ হাজার চাকিপ্রার্থী একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেন। অবশ্য এর আগে এসএসসির প্রকাশিত অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা ঘিরে তুঙ্গে উঠেছিল রাজনৈতিক তরজা। শাসক তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত অনেকের নামই এই তালিকায় আছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে কেউ মন্ত্রীর মেয়ে তো কেউ কাউন্সিলর, কেউ আবার তৃণমূলের দাপুটে নেতা, কেউ আবার দাপুটে নেতার স্ত্রী, আর কেউ জেলা পরিষদের সদস্য, কেউ অঞ্চল সভাপতি। এদিকে অভিযোগ উঠেছিল, অনেক অযোগ্য নাকি পরীক্ষায় বসছেন।
একাদশ–দ্বাদশে ১২ হাজার ৫১৪টি শূন্যপদ। অন্যদিকে নবম–দশম শ্রেণিতে নিয়োগের জন্য ২৩ হাজার ২১২টি শূন্যপদ। এসএসসি সূত্রের খবর, নবম-দশম শ্রেণিতে নিয়োগের জন্য আবেদনের সংখ্যা ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৬৫০ জন। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে আবেদন করেছেন ২ লক্ষ ৫৪ হাজার জন। ২০১৬ সালের নিয়োগের তুলনায় এবারে আবেদনের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩০ হাজার বেশি। প্রসঙ্গত, এর মধ্যে কয়েক হাজার ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাও রয়েছেন।