• বীভৎস! যমুনায় ডুবে মৃত্যু ব্যক্তির, নিখোঁজ শিশু, তল্লাশি জারি... ...
    আজকাল | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভয়াবহ যমুনা। উত্তর দিল্লির ওয়াজিরাবাদ এলাকায় যমুনা নদীতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক ৩১ বছর বয়সি ব্যক্তির। এর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গী এক ৯ বছরের কিশোর এখনও নিখোঁজ বলে জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। তল্লাশি জারি রয়েছে। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি ও নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কিশোর সম্পর্কে পরস্পরের আত্মীয়। তাঁরা দুজনেই দিল্লির নাথুপুরার ডিসিএম কলোনির বাসিন্দা।

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি এবং কিশোর যমুনা নদীতে ডুবে যাচ্ছে বলে একটি ফোন আসে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তৎক্ষণাৎ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। উদ্ধারকারীদের সহায়তায় হীরা নামের ওই ৩১ বছর বয়সি ব্যক্তিকে জল থেকে টেনে তোলা হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে তাঁর সঙ্গী ৯ বছর বয়সি আলোক এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চললেও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    বর্তমানে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বিশেষ দল এবং প্রশিক্ষিত ডুবুরিরা। রাত পর্যন্ত আলোককে উদ্ধারের চেষ্টায় অভিযান চালাচ্ছে দলটি।

    প্রসঙ্গত, যমুনা নদীর জলতল বেড়ে সম্প্রতি তাজমহলের প্রাচীর ছুঁলো। চলতি মাসেই যমুনা নদীর জলতল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। তাজমহলের প্রাচীর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে নদীর জল। আগ্রায় নদীর জলস্তর ভয়াবহ বেড়ে যাওয়ার ফলে নদীতীরবর্তী কিছু বাসিন্দার ঘরে ইতিমধ্যেই জল ঢুকে পড়ে। সম্প্রতি হিমালয়ের নিম্ন অঞ্চলে - বিশেষ করে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর জলতল হঠাৎ বেড়ে যায়।

    গত সপ্তাহে ৪ সেপ্টেম্বরের একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নদীর জল তাজমহলের গায়ে এসে লাগছে। স্থানীয় ইতিহাসবিদ রাজ কিশোর রাজে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের মতোই এবারও যমুনার জলস্তর অনেক উঁচুতে উঠেছে। এর ফলে তা তাজমহলের প্রাচীর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। তবে একইসঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেন যে, এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি এমনভাবে নির্মিত যে এমন জলতলেও এর কোনওরকম কোনও ক্ষতি হবে না।

    মুঘল যুগে নির্মিত তাজমহল। ভারতের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান। এটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। তাই বর্ষাকালে নদীর জল বেড়ে গেলে সেটি স্বাভাবিকভাবেই প্রাসাদের কাছাকাছি চলে আসে। বর্তমানে আগ্রা জেলা প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যত হয়েছে। পাশাপাশি একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (control room) খোলা হয়েছে এবং পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে।

    গত সপ্তাহে যমুনা নদীর জলস্তর ২০৫.৩৩ মিটার অতিক্রম করে, যা বিপদসীমার ওপরে। দিল্লির জন্য যমুনার সতর্কতা চিহ্ন হলো ২০৪.৫ মিটার এবং বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার। ২০৬ মিটারে পৌঁছালে লোকজনকে সেখান থেকে সরকারি নির্দেশানুসারে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়। এই সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের ইতিমধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতির জন্য প্রশাসন সতর্ক রয়েছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যাতে কোনও বড় বিপর্যয় না ঘটে।
  • Link to this news (আজকাল)