• মাটির নিচ থেকে শিশুকন্যার কান্নার আওয়াজ! গ্রামবাসীরা স্তম্ভিত, যোগীরাজ্যে হাড়হিম কাণ্ড ...
    আজকাল | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ ফের খবরের শিরোনামে। রবিবার একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হলো গোটা গোদাপুর গ্রাম। খবর অনুযায়ী, এক শিশুকন্যাকে মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। মাটির নিচে পোঁতা অবস্থায় মাত্র ১৫ দিনের শিশু কন্যাকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। আর এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় চারিদিক।

    ঘটনার জেরে, পুলিশ সুপার রাজেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, গ্রামের এক বাসিন্দা স্থানীয় একটি জায়গায় ছোট ছোট গাছের মাঝে মাটির উপর একটি শিশুর হাত বেরিয়ে থাকতে দেখেন। একইসঙ্গে তিনি মাটির নিচ থেকে কান্নার আওয়াজও শুনতে পান। ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পেরে তিনি দ্রুত পুলিশকে খবর দেন।

    খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং শিশুটিকে মাটি খুঁড়ে জীবিত উদ্ধার করে। খবর অনুযায়ী তখনও শিশুর শ্বাস প্রশ্বাস চলছিল। উদ্ধার করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানীয় সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ রাজেশ কুমার জানান, শিশুটিকে রবিবার দুপুরে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা সংকটজনক। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসককে তার চিকিৎসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের অনুমান অনুযায়ী শিশুটির বয়স মাত্র ১৫ দিন।

    এই নির্মম ঘটনার পেছনে কে বা কারা দায়ী, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। পুলিশ সুপার রাজেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, শিশুটির বাবা মায়ের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। একইসঙ্গে দোষীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত জারি রয়েছে। তিনি বলেন, 'পুরো বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এবং অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে আমাদের টিম কাজ করছে।'

    এহেন নৃশংস ঘটনা এরই মধ্যে এলাকাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে এত ছোট একটি শিশুকে এমন নিষ্ঠুরভাবে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হলো। শিশুটিকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রশাসনও প্রার্থনা করছে। 

    প্রসঙ্গত, গত মে মাসেই উত্তরপ্রদেশে এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল স্কুল প্রাঙ্গণে। মন কষাকষি হয়েছিল দুই সহপাঠীর মধ্যে। কথা বলাও বন্ধ করে দেয় একজন। এর জেরেই অধৈর্য হয়ে পড়ে অন্য কিশোর। সহপাঠী আগের মতো রোজ কথা না বলায়, অস্থির হয়ে ওঠে সে। শেষমেশ রাগের মাথায় ১৭ বছরের কিশোরীকে কুপিয়ে খুন করে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, কথা না বলায় ১৭ বছরের কিশোরীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ রয়েছে এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে। দেহটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃত কিশোরীর সহপাঠীরা জানিয়েছে, দুই সহপাঠীর মধ্যে দিন কয়েক আগে ঝামেলা হয়েছিল। ওই কিশোরী জানিয়েছিল, সহপাঠী তাকে উত্যক্ত করছে। সেই কারণেই কথা বলা বন্ধ করে দেয় সে। কিন্তু সহপাঠীর এই ব্যবহারে মনক্ষুন্ন হয় কিশোরের। এমনকী কথা বলার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে।

    অভিযুক্ত কিশোর পুলিশি জেরায় জানিয়েছে, রবিবার ওই চাষের জমির কাছে কিশোরীকে ডেকে পাঠায়। কথা কাটাকাটির পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কিশোরীকে কুপিয়ে খুন করে। রক্তাক্ত অবস্থায় সে লুটিয়ে পড়তেই পালিয়ে যায়। সেই জমি থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করবে তারা। 
  • Link to this news (আজকাল)