• এসএসসি দিলেন বহিস্কৃত তৃণমূল নেত্রী রাজন্যা হালদার
    আজকাল | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবারের এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে রাজ্য সরকার ও কমিশনের প্রতিশ্রুতি কার্যকর প্রমাণিত হল। রবিবার একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই জানিয়েছিলেন, পরীক্ষাকে স্বচ্ছ ও নির্ভুল করতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি মতোই এদিন প্রায় আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা দেন। কমিশনের চেয়ারম্যানও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—নভেম্বর থেকেই শুরু হবে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া, পাশাপাশি পরীক্ষার মডেল উত্তর প্রকাশ করে দেওয়া হবে ওয়েবসাইটে। এমনকি আগামী ১০ বছর পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণের সিদ্ধান্তও নিয়েছে কমিশন। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতি পরীক্ষার্থীদের আস্থা আরও দৃঢ় হল।

    এই পরীক্ষায় অংশ নেন বহিষ্কৃত টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদারও। সম্প্রতি তিনি দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বিশেষত, দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও তাঁর যাবতীয় দাবি ভিত্তিহীন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শেষ পর্যন্ত তাঁকে সংগঠন থেকে সাসপেন্ডও করা হয়।

    রাজন্যা এদিন বলেন, "আমি চান্স পাই বা না পাই, মেধাই তা নির্ধারণ করবে। তবে চাই, যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি দেওয়া হোক।" যদিও তাঁর বক্তব্য রাজনৈতিক তরজার আড়ালে বিশেষ গুরুত্ব পায়নি। বরং সরকার ও কমিশনের উদ্যোগেই এদিনের পরীক্ষা স্বচ্ছ ও নির্ভুলভাবে শেষ হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তির হাওয়া।

    উল্লেখ্য, একাদশ–দ্বাদশ স্তরে ১২,৫১৪টি শূন্যপদে আবেদন করেছিলেন প্রায় আড়াই লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। অন্যদিকে নবম–দশম স্তরে ২৩,২১২টি শূন্যপদে আবেদনকারীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ১৯ হাজারের বেশি। ২০১৬ সালের তুলনায় এবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রাজ্য সরকারের কঠোর নজরদারির ফলে এত বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে নিয়েও প্রশ্নপত্র ফাঁস বা বিশৃঙ্খলার মতো ঘটনা ঘটেনি—যা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রতিশ্রুতির সার্থক প্রমাণ।
  • Link to this news (আজকাল)