‘১০ শতাংশের জন্য যাদবপুর নষ্ট’, সিপিএম-এসএফআইকে আক্রমণ কল্যাণের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ঝিল থেকে উদ্ধার হয় কলা বিভাগের ওই ছাত্রীর নিথর দেহ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় জলে পড়ে যাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই ঘটনার জেরে ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্র রাজনীতির চরিত্র।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘এসএফআই, সিপিএম এবং অতি-বামপন্থী ছাত্রদের জন্যই যাদবপুরের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মাত্র ১০ শতাংশ ছাত্র গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। ওখানে কোনও অনুষ্ঠান হলে রাত ১১টা, ১২টা পর্যন্ত পড়ুয়াদের কোনও হুঁশ থাকে না, কুলকিনারা নেই কোনও।’
শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘যেখানেই বামপন্থীরা সক্রিয়, সেখানেই গোলমাল সৃষ্টি হয়। এরা কোনও গঠনমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত নয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়, সেখানে গাঁজাখোর-নেশাখোরদের আনাগোনা লেগেই থাকে, এরা সবাই বাম মতাদর্শের অনুসারী।’
তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্য ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বাম নেতারা পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, এমন একটি মৃত্যুকে ঘিরে রাজনীতি করা একেবারেই অমানবিক ও নিন্দনীয়। তাঁদের বক্তব্য, ‘ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হতেই এভাবে কোনও রাজনৈতিক সংগঠনকে দোষারোপ করা আসলে ঘটনার গুরুত্বকে খাটো করে দেখার চেষ্টা।’
এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের স্টেট অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরস্কার নিয়ে এসেছে। আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগে নিজের দলে লোকসভার চিফ হুইপ থেকে ডিমোটেড হয়েছেন। ওনাকে আর কেউ পোছেন না আর কি। যাই হোক, উনি বলেছেন, তাতে বিশেষ পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’