সঞ্জয় রাজবংশী এবং অনুপ কুমার দাস: দুর্নীতি রুখতে এ বছর এসএসসি (SSC) পরীক্ষায় একাধিক করার নিয়ম-কানুন জারি করা হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রথম ধাপের পরীক্ষা সুস্থ ভাবে হলেও, দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় নিয়ম-কানুন ঘিরে তৈরি হয় উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি। সূত্রের খবর,পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় এক পরীক্ষার্থীকে হাতের নোয়া খুলতে বলা হয়। কিন্তু নোয়া খুলতে নারাজ ওই পরীক্ষার্থী শেষমেশ পরীক্ষা না দিয়েই কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে চলে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার কালনা হিন্দু গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ে (Kalna Hindu Girls' High School), এসএসসি পরীক্ষার (SSC Exam) সময়।
এসএসসি সূত্র খবর,পরীক্ষার (SSC Exam) আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কোনওরকম ধাতব বস্তু নিয়ে হলে প্রবেশ করা যাবে না। বিবাহিত মহিলাদের শাখা, পলা, নোয়া খুলে ঢোকার নির্দেশও দেওয়া হয়। কড়া নিরাপত্তায় আজকের পরীক্ষায় সেই নিয়ম মানতে বলা হলেও এক নববধূ পরীক্ষার্থী তাতে রাজি হননি বলে জানা যায়। নতুন বিবাহিত, হাতের নোয়া খুলব না, বলে পরীক্ষা না দিয়ে চলে গেলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী, আরেকজন পরীক্ষার্থীও শেষ পর্যন্ত নোয়া খুলেই পরীক্ষা দিতে গেলেন পরীক্ষা কেন্দ্রে।
নতুন বিবাহিত চাকরিপ্রার্থী নোয়া খুলতে অস্বীকার করে:
স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা হলে ঢোকার সময় হাতের নোয়া খুলতে বলা হয় কিন্তু নোয়া না খুলে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সোজা বাড়ি পথে ,
সধবা মেয়ে সিঁদুর শাখা নোয়া কেন খুলবে, প্রশ্ন পরীক্ষার্থীর।
বিবাহিত মহিলা পরীক্ষার্থীর দাবি নোয়া খুলবনা , তাতে তাদের পরীক্ষা না দিতে হয় দেব না। তিনি আরও বলেন, “সবে এক মাস বিয়ে হয়েছে আমার। এখন বলছে নোয়া খুলে ফেলতে, সেটা হয় নাকি? পরীক্ষা দেবই না।”স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জানান এরকম অভিযোগ তাদের কাছে আসেনি ।
কালনা হিন্দু গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা:
কালনা হিন্দু গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ এসএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৯৭ । নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন খামতি রাখেনি প্রশাসন।
পরীক্ষার্থীদের জানানো হয়েছিল কোনরকম ধাতবও জিনিস সঙ্গে করে আনা যাবে না , তাই বিবাহিত মেয়েদের হাতের পলা, নোয়া খুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ মানতে বলে প্রশাসন। কিন্তু দুজন পরীক্ষার্থী হাতের নোয়া খুলতে নারাজ ছিলেন। একজন শেষমেশে নোয়া খুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকলেও। আরেক বিবাহিত মহিলা প্রার্থী পরীক্ষা না দিয়ে, বাড়ি ফিরে গেল।
কিন্তু সদ্য বিবাহিত ওই পরীক্ষার্থী, নিয়ম মানতে অস্বীকার করে পরীক্ষা (SSC Exam) না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে, পরীক্ষার কড়া নিয়ম ও ব্যক্তিগত ধর্মীয়-সামাজিক বিশ্বাসের মধ্যে সমন্বয় কোথায়? আপাতত এই ঘটনার জল কতদূর এখন সেটাই দেখা।
আরেক চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছে নদিয়ায়
আজ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকে পরীক্ষা দেবার অভিযোগে একজন চাকরি পরীক্ষার্থী গ্রেপ্তার পুলিশ জানায় অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছে,অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা বলেন আমরা কি চাকরি পাবো না ? পড়াশুনা করে বেকার থেকে যাবো, বহুদিন পরে চাকরির পরীক্ষা হচ্ছে তার পরেও এই চরম অব্যবস্থা, এই ঘটনা নদিয়ার তেহট্ট 1 ব্লকের বেতাই উচ্চ বিদ্যালয়ে SLST পরীক্ষা দিতে গিয়ে ডিভাইস সহ ধরা পড়ল এক পরীক্ষার্থী নাম প্রবীর বিশ্বাস, এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে তেহট্টর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।