সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূস্বর্গে বেড়াতে গিয়ে তাঁদের জীবন ছারখার হয়ে গিয়েছিল। নৃশংস জঙ্গি হামলায় তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছিলেন। সেই পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবারও চাইছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত যেন খেলতে না নামে। পহেলগাঁওয়ে নিহত ২৬ জনের পরিবারের সঙ্গে সুর মিলিয়ে গোটা ভারতে ট্রেন্ডিং হচ্ছে ‘বয়কট ইন্ডিয়া বনাম পাকিস্তান’।
পহেলগাঁওয়ে নিহত শুভম দ্বিবেদীর বাবা সঞ্জয় দ্বিবেদীর কথায়, “ভারত সরকার জানিয়েছিল, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রাখবে না। রক্ত ও জল একসঙ্গে বইতে পারে না। যেদিন থেকে আমি শুনেছি ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে, সেদিন থেকেই কেবল আমি নয়, গোটা দেশ এর বিরোধিতা করে আসছে।” পহেলগাঁও হামলায় বাবা সন্তোষকে হারিয়েছেন আশাবরী জগদালে। তাঁর প্রশ্ন, “পহেলগাঁও হামলার পর ৬ মাস কেটে গিয়েছে। এত বড় ব্যাপার ঘটে যাওয়া সত্ত্বেও এই ম্যাচ আয়োজন করতে লজ্জা করল না?” বাবা এবং ভাইকে হারানো সাওয়ান পারমারের আর্তি, “এই ম্যাচ যদি চান, তাহলে গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যাওয়া ভাইকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন।”
স্বজনহারা এই পরিবারগুলির কান্নায় চোখে জল এসেছে গোটা ভারতের। আমজনতা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, একযোগে ভারত-পাক ম্যাচের বিরোধিতা করেছেন। সেকারণেই রবিবার সারাদিন সোশাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ভারত-পাক ম্যাচ। তবে অন্যান্যবারের মতো ক্রিকেটের যুদ্ধ দেখার উৎসাহে নয়, এবারের ট্রেন্ড হল ভারত-পাক ম্যাচ বয়কটের ডাক দিয়ে। প্রাক্তন সেনাকর্মী থেকে শুরু করে সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, সকলেই বার্তা দিয়েছেন এই ভারত-পাক ম্যাচ যেন বয়কট করেন আপামর ভারতবাসী। উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে খেলা হলেও এশিয়া কাপের আয়োজক ভারতই।
নেটিজেনদের মতে, একবার স্কোর দেখার জন্য়ও কেউ যদি ম্যাচ চালান, সেটা খেলার টিআরপি বাড়িয়ে দেবে। কেউ বলছেন, পাকিস্তানের সিনেমা-অভিনেতাদের যদি বয়কট করা হয় তাহলে সেটা ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও হওয়া উচিত। কটাক্ষ করে নেটিজেনদের মন্তব্য, ‘সিন্ধুর জল সীমান্ত পেরতে পারে না, কিন্তু কভার ড্রাইভ ঠিক সীমান্ত পেরিয়ে যাচ্ছে।’ সবমিলিয়ে, ক্রিকেট ম্যাচ ঘিরে প্রতিবাদে শামিল গোটা ভারত।