পাশবিক হত্যাকাণ্ড! নিজের আড়াই বছরের শিশুকে শ্বাসরোধ করে নদীর জলে ভাসিয়ে দিল বাবা, স্তব্ধ গোটা রাজ্য...
আজকাল | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: হায়দরাবাদে এক মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে৷ এক ব্যক্তি নিজের আড়াই বছরের শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। হত্যা করার পর ওই শিশুর মৃতদেহ একটি ব্যাগে ভরে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে গিয়ে শহরেরই মুসি নদীতে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনা জানাজানি হতে চমকে উঠেছে দেশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ১২ই মে রাতে। অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন সবজি বিক্রেতা। তার বয়স আনুমানিক ত্রিশের কোঠায়। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, শিশুটি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিল এবং স্থানীয় হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই বিবাদ হতো।
এই ঘটনার দিন শিশুটির মা তাঁর কর্মস্থলে ছিলেন। তিনি ১৩ই মে বাড়ি ফিরে এসে দেখতে পান যে সন্তান বাড়িতে নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও শিশুর কোনও খোঁজ না পেয়ে তিনি ১৩ই সেপ্টেম্বর, শুক্রবার থানায় অভিযোগ একটি দায়ের করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে। প্রথমে অভিযুক্তের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড যাচাই করা হয়। এরপর তার বাড়ির আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা যায় যে সে শনিবার সকালে একটি ব্যাগ নিয়ে বাইকে করে কোথাও যাচ্ছে। পুলিশের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। সে পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে সে তার শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এবং মৃতদেহটি ব্যাগে ভরে মুসি নদীতে ফেলে দিয়েছে।
এই নৃশংস ঘটনায় হায়দরাবাদের বন্দলগুডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিশুটির মৃতদেহ এখনও উদ্ধার হয়নি বলেই খবর। নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং অভিযুক্ত বর্তমানে হেফাজতে রয়েছে।
নির্মম এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এহেন পাশবিক হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা উত্তর প্রদেশ। খবর অনুযায়ী, গোদাপুর গ্রামে এক শিশুকন্যাকে মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। মাটির নিচে পোঁতা অবস্থায় মাত্র ১৫ দিনের শিশু কন্যাকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। আর এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় চারিদিক।
ঘটনার জেরে, পুলিশ সুপার রাজেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, গ্রামের এক বাসিন্দা স্থানীয় একটি জায়গায় ছোট ছোট গাছের মাঝে মাটির উপর একটি শিশুর হাত বের হয়ে থাকতে দেখেন। একইসঙ্গে তিনি মাটির নিচ থেকে কান্নার আওয়াজও শুনতে পান। ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পেরে তিনি দ্রুত পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং শিশুটিকে মাটি খুঁড়ে জীবিত উদ্ধার করে। খবর অনুযায়ী তখনও শিশুর শ্বাস প্রশ্বাস চলছিল। উদ্ধার করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানীয় সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ রাজেশ কুমার জানান, শিশুটিকে রবিবার দুপুরে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা সংকটজনক। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসককে তার চিকিৎসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের অনুমান অনুযায়ী শিশুটির বয়স মাত্র ১৫ দিন।
এই নির্মম ঘটনার পেছনে কে বা কারা দায়ী, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। পুলিশ সুপার রাজেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, শিশুটির বাবা মায়ের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। একইসঙ্গে দোষীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত জারি রয়েছে। তিনি বলেন, 'পুরো বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এবং অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে আমাদের টিম কাজ করছে।'