নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আর দাদাগিরি নয়। গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার বিহারে আসন ভাগাভাগিতে কোনও জেদ করবে না বলেই ঠিক করেছে কংগ্রেস। দলের প্রদেশ নেতৃত্বকে রাহুল গান্ধীর নির্দেশ, লক্ষ্য একটাই, বিহারে বিজেপি তথা এনডিএ’কে হারানো। তাই যত বেশি সম্ভব শরিক বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে প্রয়োজনে নিজেদের ভাগের আসনও নতুন শরিককে ছাড়া হবে। সেই মতো বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৪৫-৫২ আসনে ‘হাত’ চিহ্নের প্রার্থী দিয়ে মহাজোটে লড়বে বলেই ঠিক করেছে। শীঘ্রই বিজেপি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে বসে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করে ফেলবে। দলের চারজন বর্তমান বিধায়কের টিকিট কেটেও দরকারে শরিকদের দেওয়া হবে।
বিহার বিধানসভায় মোট আসন ২৪৩। এর মধ্যে গতবার (২০২০ সালে) আরজেডির সঙ্গে জেদ করে ৭০ আসন নিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু ভোটে মোটেই ভালো ফল করতে পারেনি। জিতেছিল মাত্র ১৯ আসন। তাই এবার আর জেদ নয়। মূল শরিক তথা বিহারের প্রধান বিরোধী দল আরজেডির কথাতেই একপ্রকার চলবে। তবে কংগ্রেস চায়, প্রতি জেলায় অন্তত একটি করে যেন আসন মেলে। বিহারে জেলার সংখ্যা ৩৮। একইসঙ্গে কংগ্রেসের চাহিদা, ব্যাপক হারের মার্জিন রয়েছে, এমন আসন যেন একা কংগ্রেসকেই না পেতে হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক আলোচনায় ঠিক হয়েছে, লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি ১৩৩ নেবে। এর মধ্যে থেকেই রামবিলাস পাসোয়ানের ভাই পারস পাসোয়ানের দল রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টি এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সংযুক্ত বাম দলগুলি লড়বে ৩৪ আসনে। এনডিএ ছেড়ে আসা মুকেশ সাইনির দল বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)কে বিজেপি বিরোধী মহাজোটে টানার প্রবল চেষ্টা চলছে। তাঁকে ২২ আসন ছাড়া হতে পারে। গতবার এনডিএর শরিক হিসেবে নির্বাচনে লড়ে চারটি আসনে জিতেছে ভিআইপি। তবে মোদি-শাহর দলের সঙ্গে আর সম্পর্ক নেই। তাই সাইনির সমর্থন পেয়ে বিজেপি বিরোধী মহাজোট মজবুত করতে চাইছেন রাহুল এবং তেজস্বী যাদব।