সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: এবার সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন দেখা যাবে ময়নাগুড়িতে। উদ্যোক্তা ময়নাগুড়ির আনন্দনগর পাড়ার বিবেকানন্দ ক্লাব। ৫৪ তম বর্ষে বিবেকানন্দ ক্লাবের এ বছর দুর্গাপুজোর থিম ‘মাটির টানে’। থিম যেমন দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে, তেমনই এ বছর পুজোয় থাকছে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। থিমের সঙ্গে সাজুয্য রেখে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমা। এবারও পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধন করা হবে ময়নাগুড়িতে ভিক্ষাবৃত্তি করেন এমন লোকদের দিয়ে। শুধু তাই নয়, তাঁদের সারা বছর দেখভালেরও দায়িত্ব নেবে বিবেকানন্দ ক্লাব।
বিবেকানন্দ ক্লাবের পুজো কমিটির সভাপতি রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, সহ সভাপতি সঞ্জীব দত্ত ও পার্থ বসু, সম্পাদক দীপক তরফদার ও সমীর দেবগুপ্ত এবং সহ সম্পাদক পারিজাত ভৌমিক ও বিজয় দত্ত। মণ্ডপটি তৈরি করছেন ময়নাগুড়ির শিল্পী পার্থ দেবগুপ্ত। আলোকসজ্জার কাজ করছেন শিলিগুড়ির শিল্পী। প্রতিমা বানাচ্ছেন ময়নাগুড়ির হরিকিশোর রায়।
সুদৃশ্য মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে পোড়ামাটি, ইট, টালি, মাটির প্রদীপ, কাঠের গুঁড়ো, খড়, বাঁশ সহ পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে। সিন্ধু সভ্যতায় যেসব নির্দশন দেখা গিয়েছিল, সেসবই করা হচ্ছে মাটি দিয়ে। প্রতিবছর বিবেকানন্দ ক্লাব ময়নাগুড়িতে নতুনত্ব পুজো মণ্ডপ উপহার দিয়ে থাকে জলপাইগুড়িবাসীদের। এ বছরও তাদের মণ্ডপ জেলাবাসীর নজর কাড়বে বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিগত বছরগুলির মতো এ বছরেও ময়নাগুড়িতে যাঁরা ভিক্ষাবৃত্তি করেন এমন ১৫ জনকে নিয়ে এসে পুজোর উদ্বোধন করানো হবে। শুধু তাই নয়, তাঁদের সারা বছরের প্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে শুরু করে তাঁদের দেখাশোনা করবে এই ক্লাব। পাশাপাশি পুজোর সময় দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হবে।
বিবেকানন্দ ক্লাবের প্রতিমা নিয়ে আসা হবে মহালয়ার আগের রাতে। মহালয়ার দিন মণ্ডপেই করা হবে মায়ের চক্ষুদান। ক্লাব সভাপতি প্রদীপ দে বলেন, প্রতিবছর আলাদারকমের পুজো মণ্ডপ আমরা তুলে ধরি। আমাদের পুজো প্রতিবছরই বিভিন্ন সংস্থার বিচারকদের নজরকাড়ে। তাই মেলে পুরস্কার। এ বছর আমরা যে থিম নিয়ে মণ্ডপ বানাচ্ছি তা প্রত্যেকের ভালো লাগবে। মণ্ডপে যে ঝাড়বাতি থাকবে সেটাও মাটির বানানো হচ্ছে। - নিজস্ব চিত্র।