• ইসলামপুর শহরে পুজোর বাজারের ভিড়ে টোটো-যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণের দাবি
    বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ইসলামপুরে পুজোর মুখে টোটোর দৌরাত্ম্যে বিরক্ত সাধারণ মানুষজন থেকে ব্যবসায়ীরা। পুজোর কেনাকাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন,পুরসভা টোটো নিয়ন্ত্রণে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ট্রাফিক পুলিশ কর্তারা অবশ্য যানজট নিয়ন্ত্রণে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ট্রাফিক ডিএসপি হরিপদ সরকার বলেন, এবারও পুজোর কয়েকদিন আগে থেকে টোটোর নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে এখনও এবিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হবে। পুজোয় গাইডম্যাপ প্রকাশ হবে। তখনই জানিয়ে দেওয়া হবে, টোটো গতিবিধি কতদূর থাকবে। 

    দিন দিন টোটোর সংখ্যা বেড়েই চলেছে শহরে। রাস্তায় সারি সারি টোটো। অনিয়ন্ত্রিত সংখ্যায় টোটো রাস্তায় নামার ফলে যানজটে নাকাল হতে হয় পথচারী থেকে অন্য গাড়িচালকদের। টোটো চালকদের একাংশ ট্রাফিক আইনেরও তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ। খেয়ালখুশি মতো ওভারটেক, পার্কিং করে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকে। 

    ইসলামপুর শহরের মূল সড়ক থেকে শুরু করে বাজার ও গলিপথ- সর্বত্রই একই সমস্যা। এখন থেকে উদ্যোগ না নিলে পুজোয় চরম ভোগান্তিতে প‌‌ড়তে হবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদেরও। ফেডারেশন অব ইসলামপুর ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের (ফিটো) সভাপতি কানাইয়ালাল বোথরা বলেন, যত্রতত্র টোটো পার্কিং হচ্ছে। বাজারের রাস্তায় টোটো দাঁড়িয়ে থাকছে। এখন পুজোর কেনাকাটা শুরু হয়েছে। যানজটের কারণে অনেক ক্রেতা বাজারে ঢুকতে চান না। সমস্যার কথা প্রশাসনও জানে। এখন থেকেই প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

    শহরে টোটো নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সম্প্রতি সিপিএম নেতৃত্ব ইসলামপুর পুরসভায় স্মারকলিপিও দিয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানিয়েছিলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও পুলিশ পুজোর সময় টোটো নিয়ন্ত্রণ করবে। ওয়ানওয়ে করলে টোটোর যানজট অনেকটাই কমবে।

    সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে প্রায় ৫০০ টোটোকে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু শহরের রাস্তায় কয়েক হাজার টোটো চলছে বলে অভিযোগ। সিংহভাগ টোটোরই রেজিস্ট্রেশনে নেই। গ্রামাঞ্চল থেকে প্রচুর টোটো শহরে চলছে। সংলগ্ন বিহার রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকেও টোটো শহরে ঢুকছে। ফলে যানজটে নাকাল হচ্ছেন শহরবাসী।
  • Link to this news (বর্তমান)