নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: পদ্ম শিবিরের কোন্দলের পারদ ঊর্ধ্বমুখী। খড়িবাড়ি, বিধাননগরের পর শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে অসন্তোষ চরমে! অভিযোগ, দলীয় পদ দখল নিয়ে বিবাদের জেরে বিজেপিতে গোষ্ঠী কোন্দল দানা বেঁধেছে। ইতিমধ্যে দলের জেলা পার্টি অফিসে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক নেত্রী। যার তদন্তে রবিবার দফায় দফায় বৈঠক করে দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নান্টু পাল। তিনি কার্যত দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সধারণ সম্পাদক বলেন, দল বড় হয়েছে। সকলকে কমিটিতে স্থান দেওয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য দলের একাংশের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। এটা তেমন কোনও বিষয় নয়। দলে আলোচনা করে তা মিটিয়ে নেওয়া হবে। আর ওই মহিলা নেত্রীর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতো শিলিগুড়িতেও সেবাপক্ষকাল কর্মসূচি নিয়েছে দল। এজন্য শনিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে নেতা-নেত্রীরা ওই কর্মসূচি নিয়ে বৈঠকে বসেন বলে খবর। দলীয় সূত্রের খবর, সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন দলের নেত্রী দেবযানী সেনগুপ্ত। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। দেবযানী দলের এক নেতার বক্তব্যে মানসিকভাবে আঘাত পান বলে অভিযোগ। রবিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে জলপাইগুড়িতে আত্মীয়র বাড়িতে যান তিনি। তিনি বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সহ সভাপতি।
এদিন দলের সেবাপক্ষকাল কর্মসূচি নিয়ে ফের বৈঠক করেন নান্টু। দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকে নান্টু ছাড়াও দলের ২৮টি মণ্ডল সভাপতি, যুব মোর্চ ও মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা ছিলেন। নেত্রীর অসুস্থ হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে বৈঠকে নান্টু খোঁজখবর করেন বলে খবর। নান্টু বলেন, দলের জেলা সভাপতি এদিনের বৈঠকে ছিলেন না। তবে শনিবার দেবযানীর সঙ্গে কী হয়েছিল, কার বক্তব্যে উনি আঘাত পেয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করা হয়। দলের রাজ্য কমিটি জানতে চাইলে তা জানানো হবে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে খড়িবাড়ির একটি মণ্ডল কমিটি থেকে গণইস্তফা দেন নেতারা। এরপর বিধাননগরের একটি মণ্ডল কমিটির কয়েকজন নেতা দলের জেলা অফিসে বিক্ষোভ দেখান। পরপর এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁদের একাংশের ক্ষোভ দেলের জেলা সভাপতির দিকে। সভাপতির ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যদিও এ ব্যাপারে দলের জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডলকে একাধিকবার ফোন করেও তাঁর সাড়া মেলেনি। তাঁকে বিষয়টি নিয়ে এসএমএম করেও উত্তর মেলেনি।