এসএসসি: অযোগ্য ৪ জনের নাম বালুরঘাটের পরীক্ষাকেন্দ্রে
বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ, মালদহ ও সংবাদদাতা, হিলি: স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে গৌড়বঙ্গের তিনজেলা থেকে রবিবার একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসলেন ২৯ হাজার ৯২৬ জন পরীক্ষার্থী। উত্তর দিনাজপুর, মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ৫৯ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা পর্ব চলেছে নির্বিঘ্নে।
প্রবেশপথেই পরীক্ষার্থীদের নথিপত্র যাচাই করার পর পরীক্ষা শুরু হয় বেলা ১২টা থেকে। চলে দেড়টা পর্যন্ত। এদিকে পরীক্ষা শুরু থেকে শেষপর্যন্ত কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ মোতায়েন ছিল।
অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলায় নিয়োগ পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। বালুরঘাটে সাতটি এবং গঙ্গারামপুরে ছ’টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়। জেলাজুড়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬,২১৯ জন। যার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫,৯৭৪ জন।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট গার্লস কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে চারজন অযোগ্য পরীক্ষার্থীর নাম ছিল। স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে তাঁদের নামে অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু করা হলেও যাচাইয়ের পর পরীক্ষা বাতিল করা হয়। এনিয়ে গার্লস কলেজের গেটে নোটিশও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অযোগ্য ওই চারজনের কেউ পরীক্ষা দিতে পারেননি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দেবাশিস সামন্ত জানিয়েছেন,ওই কেন্দ্রে চারজন ‘অযোগ্য’ ছিল। তাঁদের আগেই অ্যাডমিট কার্ড বাতিল করা হয়েছে। তাঁর কেউই পরীক্ষা দিতে আসেননি।
পরীক্ষা উপলক্ষ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলাতে এদিন সকাল থেকেই ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ১৬ টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। নির্বিঘ্নেই পরীক্ষাপর্ব সম্পন্ন হয়। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার সিট পড়েছিল। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও রায়গঞ্জ থানার পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পরীক্ষার্থীদের বাইক পার্কিং নিয়ে সাময়িক অসন্তোষ হয়েছিল। যদিও সেই সমস্যা দ্রুত মিটে গিয়েছে। ঘোষণা মতো জেলার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে স্বচ্ছ জলের বোতল, স্বচ্ছ পেন নিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়। অন্য কোনও ধরনের পেন যাঁরা নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে সেটি রেখেই ঢুকতে হয়। কোথাও আবার কেন্দ্র থেকে পরীক্ষার্থীদের পেন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মালদহ জেলায় ৩০ কেন্দ্রের সবক’টিতেই নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৪৫২ জন। স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ছাড়াও একাধিক নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছিল। পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ইংলিশবাজার, পুরাতন মালদহ শহর এবং চাঁচল মহকুমায়।