• কল্যাণী শহরে গড়ে উঠেছে প্রায় ৩৫০ কোটির জল প্রকল্প, খুশি এলাকাবাসী
    বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: কল্যাণী শহরে পানীয় জল সরবরাহ থাকলেও এতদিন তা পর্যাপ্ত ছিল না। তবে, শহরে পানীয় জলের উৎপাদন এবার স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। ফলে পাকাপাকিভাবে মিটছে ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভরশীলতা। সবমিলিয়ে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠা জল প্রকল্পটির কারণে শহরে নাগরিক পরিষেবা উন্নত হয়েছে। উপকৃত হচ্ছেন বাসিন্দারা। কল্যাণী পুরসভা সূত্রের খবর, প্রকল্প বাবদ প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তবে এর মধ্যে ১৬০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে গঙ্গা থেকে জল উত্তোলন এবং পরিশোধনের পরিকাঠামো তৈরির জন্য। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের আওতায় বাড়ছে শহরের ওভারহেড রিজার্ভারের সংখ্যাও। শহরের ৫, ৬, ১২, ১৪, ১৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জলাধারগুলি নতুন করে তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ এবার থেকে দিনের চার দফা মিলিয়ে কল্যাণীবাসী প্রায় ১৪ ঘণ্টারও বেশি পানীয় জলের সরবরাহ পাবেন। কল্যাণী শহর শুধুমাত্র নদীয়া জেলার ক্ষেত্রেই নয়, রাজ্যের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। তাই এখানে গত কয়েক বছরে পর্যাপ্ত পানীয় জলের সরবরাহ আবশ্যিক হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কল্যাণীর জনসংখ্যা। তাই ২০১৯ সাল থেকেই বিরাট এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে শহরজুড়ে পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। ২০২১ সালে গঙ্গাপাড়ে শুরু হয় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরির কাজ। শহরজুড়ে প্রায় ৬১ কিলোমিটার জল সরবরাহের পাইপলাইন বসানো হয়। যা পাকাপাকিভাবে ২৭ হাজার পরিবারের পানীয় জলের বন্দোবস্ত করবে। এর ফলে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে। নতুন এই প্রকল্প চালু হওয়ার ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন আমজনতাও। তাঁদের কথায়, এতদিন পানীয় জলের পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল না। ফলে চরম ভোগান্তি হতো। ভূগর্ভস্থ জলের উপরেই বেশি নির্ভর করতে হতো। তাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই বিরাট জল প্রকল্প আমজনতার কাছে প্রশংসিত হয়েছে।

    এবিষয়ে কল্যাণীর মহকুমা শাসক অভিজিৎ সামন্ত বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জল সংক্রান্ত যে সমস্যা ছিল, তা মিটেছে। সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন। বর্তমানে শহরের চাহিদা মতো পর্যাপ্ত জল পরিশোধন এবং সরবরাহ হচ্ছে। যাতে সত্যিই সাধারণ মানুষের সুবিধা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)