• সিল কাটা প্যাকেটে প্রশ্নপত্র, এসএসসি পরীক্ষা শেষে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: রবিবার এসএসসি পরীক্ষার শেষে জঙ্গিপুর হাইস্কুলের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন পরীক্ষার্থীরা। ডিউটিরত শিক্ষক, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ইনভিজিলেটরের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। সিল কাটা প্যাকেট থেকে প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে পরীক্ষার্থীদের দাবি। এ বিষয়ে ইনভিজিলেটরকে অভিযোগ জানানোয় তিনি তাঁদের পরীক্ষা ক্যান্সেল করে দেওয়ার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। এছাড়াও একাধিক অনিয়ম ও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন পরীক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। তাঁরা বিক্ষোভকারী পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভরত পরীক্ষার্থীদের ভিডিওগ্রাফিও করে পুলিশ। পরীক্ষার পর অঘটনের আশঙ্কা করছেন পরীক্ষার্থীরারা। কোনও অঘটন ঘটলে ওই ইনভিজিলেটর দায়ী থাকবেন বলে জানান তাঁরা।

    জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসক একাম জে সিং বলেন, আসলে কী ঘটেছে সে বিষয়ে ইনভিজিলেটরের সঙ্গে কথা বলব। রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের বিডিও সুবীর দাস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে কী ঘটেছে তা খোঁজ নেব। জানা গিয়েছে, এদিন পরীক্ষার শেষে ভূগোলের পরীক্ষার্থীরা স্কুলের অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের ঘরে সিল কাটা প্যাকেট থেকে প্রশ্নপত্র কেন দেওয়া হল, তা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে তা তিনি নেননি। তাঁদের অভিযোগ গ্রহণের দাবি তোলেন পরীক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ইনভিজিলেটরের পরিচয় জানানোর দাবিও তোলেন। রবিবার জঙ্গিপুর হাইস্কুলে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ভূগোলের পরীক্ষা চলছিল। সায়েন্স বিল্ডিংয়ের ২০৩ নম্বর রুমে ২৪ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনভিজিলেটর রুমে আসেন। তখনই পরীক্ষার্থীরা লক্ষ্য করেন, প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের সিল কাটা। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্রের প্যাকেট কাটা কেন, তা জানতে চান। তাতে কর্তব্যরত ইনভিজিলেটর তাঁদের পরীক্ষা ক্যান্সেল করে দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পরীক্ষার্থীরা এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার দাবি তোলেন। কিন্তু পরীক্ষার সময় নষ্ট হওয়ায় পরীক্ষা দিতে শুরু করেন তাঁরা। পরীক্ষা শুরু হতেই কর্তব্যরত ইনভিজিলেটর পরীক্ষার্থীদের উপর মানসিক চাপ তৈরি করতে থাকেন বলে দাবি। পরীক্ষা শেষ হতেই পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। রঘুনাথগঞ্জের ফতুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাস বলেন, সিল কাটা প্যাকেট নিয়ে প্রশ্ন করায় আমাদের উপর মানসিক চাপ তৈরি করতে শুরু করেন। আমাদের একটু নড়তেও দেননি। উনি এসে প্রশ্নপত্রও চেক করছিলেন। আমরা কমপ্লেন লেটার দিতে চাইলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তা নেয়নি। দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা মুস্তাকিম মণ্ডল বলেন, আমাদের পরীক্ষা বাতিল করে দেবে বলে ভয় দেখান ওই ইনিভিজিলেটর ও মানসিক টর্চার করেন। উনি মোবাইল ফোন নিয়েও দীর্ঘক্ষণ চ্যাটিং করেন। জঙ্গিপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজীবকুমার ঘোষালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ‘ব্যস্ত আছি’ বলে আর কথা বলতে চাননি।
  • Link to this news (বর্তমান)