বিজেপির মহিলা কাউন্সিলারকেই জুতোপেটা দলের এক সমর্থকের
বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: খড়গপুর শহরে বিজেপির মহিলা নেত্রী তথা কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে বিজেপিরই এক কর্মীকে জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে। ইতিমধ্যেই জুতোপেটা করার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’। অভিযুক্ত মমতা দাস খড়গপুর শহরে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের কথায়, একের পর এক নির্বাচনে হার হচ্ছে দলের। এখনও জেলার বহু এলাকায় বিজেপির সংগঠন মজবুত নয়। এই পরিস্থিতিতে একজন কাউন্সিলার সাধারণ কর্মীর গায়ে হাত দিচ্ছেন। খুবই ভালো বার্তা যাচ্ছে মানুষের কাছে। দলের তরফে তদন্ত হওয়া উচিত। কোনও অভিযোগ থাকলে দলের অন্দরে মিটিয়ে নেওয়া প্রয়োজন ছিল। যদিও এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল নেতারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি শনিবারের। অভিযোগ, ওইদিন বিজেপির সক্রিয় নেতা অশোক সিং দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময়ে কাউন্সিলার মমতা দাস হঠাৎ সেখানে ঢোকেন। পায়ের জুতো খুলে অশোককে মারতে শুরু করেন। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অশোক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও দু’ বার জুতো পেটা করা হয় তাঁকে। বিজেপি কর্মী অশোকের দাবি, গত পুরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলারের সঙ্গেই ছিলাম। ওঁর জয়ের পিছনে আমার অবদান আছে। ওই ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার ধারে দোকান দিতে চেয়েছিল। কিন্তু কাউন্সিলার কিছুতেই দোকান দিতে দিচ্ছিলেন না। কাউন্সিলার ১০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন বলে শুনেছি। এই ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই আমাকে মারধর করা হয়।
অপরদিকে, কাউন্সিলার মমতা দাসের দাবি, উনি বিজেপি বা টিএমসি করেন না। যে দলেই যান তাড়িয়ে দেয়। আসলে উনি একজন সমাজ বিরোধী। একদম ঠিক করেছি ওকে মেরে। আমি কেন দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করব। আমার গায়ে আগে হাত দিয়েছে। সব সময়ে বাজে ভাষায় গালাগাল করে। রাস্তায় বেরলেই ছেলেদের পেছনে লাগিয়ে নানা ভাবে হেনস্থা করা হয়। তিনি আরও বলেন, আমি ওয়ার্ড এলাকায় কাজ করছিলাম। সেই সময় ও আমাকে গালাগালি দেয়। ও আমাকে আগে মেরেছে। তারপর আমি জুতো দিয়ে মেরেছি। ওই বিজেপি কার্যালয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ হয়।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি মানেই তোলাবাজি। অশোক সিংয়ের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে। তোলা নিয়ে ওদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে বলে শুনেছি। বিজেপি দলের এটাই সংস্কৃতি। ওরা সারা বছর ধরেই তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা অরূপ দাস বলেন, ভিডিওটি দেখেছি। ঠিক কী হয়েছে জানি না। অবশ্যই খোঁজ নেব। বিজেপি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। দলের নেতারা নিশ্চয়ই ভাবনাচিন্তা করবেন।