• পাণ্ডুয়ার সমবায়ে সব আসনে জয়ী তৃণমূল, বামেদের শক্ত ভিতে বড় সাফল্য ঘাসফুলের
    বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: ফের পাণ্ডুয়ায় সমবায় নির্বাচনে বড়সড় জয় পেল তৃণমূল। বরগ্রাম-বিলসরা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ৪৫টি আসনের সবকটি তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। এই নির্বাচনে ১৮টি আসনে বাম এবং বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি। ফলে, সেগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। রবিবার বাকি ২৭টি আসনের জন্য নির্বাচন হয়। এর মধ্যে সিপিএম সবকটি আসনে প্রার্থী দিতে পারলেও বিজেপি তা পারেনি। ভোটাভুটির পর শেষ হাসি হাসল ঘাসফুল শিবির। এই নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় ছিল টানটান উত্তেজনা। কারণ, ওই সমবায় একদা বামেদের দুর্গ ছিল। পাণ্ডুয়ায় সিপিএমের সবচেয়ে মজবুত এলাকায় সমবায়ের দখল পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল নেতৃত্ব।

    তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিলসরা, শিয়ালাগুড়ি, বড়গ্রাম— তিনটি গ্রাম নিয়েই চলে এই সমবায়ের কাজ। এতদিন সরকারি প্রতিনিধিরা সমবায় চালাতেন। সিপিএম ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর এবারই প্রথম নির্বাচন হল এই সমবায়ে। পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনিসুল ইসলাম বলেন, কার্যত বামদুর্গে এদিন তৃণমূলের পতাকা উড়েছে। রাজ্যে পালাবদলের বহু পরে পাণ্ডুয়া বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ আমাদের জিতিয়েছেন। সেই ভরসাকে আমরা ধরে রাখতে পেরেছি। সমবায় থেকে বামেদের নাম ও নিশান এবার কার্যত মুছে গেল। রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কাজে মানুষ খুশি। পাণ্ডুয়ার শ্রমজীবী মানুষ ও কৃষকরা যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতার ভাষা নেই। যদিও সমবায় নির্বাচনকে রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির নির্ণায়ক বলে মানতে নারাজ সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, ক্ষমতার লোভে কিছু মানুষ অনিয়মের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তাতেই তৃণমূল জয় পেয়েছে। এই নির্বাচন পাণ্ডুয়ার মানুষের ভাবনার প্রকৃত প্রতিফলন নয়। সিপিএম নেতৃত্ব যাই বলুন, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। বিশ্লেষকদের দাবি, ৪৫-০ ব্যবধানে জয় ছোট বিষয় নয়। গত তিন মাস ধরেই সমবায় নির্বাচনে পাণ্ডুয়ায় ধারাবাহিকভাবে সবুজ আবির উড়ছে। সিপিএম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও হালে পানি পায়নি। যা পাণ্ডুয়ার সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ ও কৃষকদের চিন্তার প্রতিফলন হিসেবেই ধরতে হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)