• দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ, হোটেলে গিয়ে তাণ্ডব তৃণমূলের
    বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: হোটেলে দিনের পর দিন দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠছিল। আর তা বন্ধ করতে গিয়ে কার্যত ‘তাণ্ডব’ চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার, দত্তপুকুর থানার চালতাবেড়িয়া এলাকায়। রবিবার সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় (যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি বর্তমান)। এক্ষেত্রে পুলিশের উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ী সৌমেন দাস।

    জানা গিয়েছে, দত্তপুকুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চালতাবেড়িয়া এলাকায় একটি হোটেল রয়েছে সৌমেন দাসের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হোটেলের আড়ালে দিনের পর দিন চলছে দেহব্যবসা। হোটেলের রেজিস্ট্রার খাতা দেখেই তা স্পষ্ট হবে। কারণ খাতাতেই দেখা গিয়েছে, অল্পবয়সিরা কয়েক ঘন্টা কাটিয়ে যাচ্ছেন হোটেলে। এনিয়ে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ ছিলেন। বিষয়টি নজরে আসে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মান্তু সাহার। এরপর ওই হোটেলে গিয়ে তাঁর অনুগামীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ। সিসি ক্যামেরায় সেই ঘটনা ধরা পড়েছে। অভিযোগ সেখানে দেখা যাচ্ছে, রিসেপশনের দরজা ভেঙে দিচ্ছেন মান্তুর অনুগামীরা।

    ব্যবসায়ী সৌমেন দাস বলেন, নিয়ম মেনেই ব্যবসা হচ্ছে। উপপ্রধান মান্তুর অনুগামীরা হোটেল ভাঙচুর করেছেন। ভিতরে থাকা ১ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকাও নিয়ে চম্পট দিয়েছে উপপ্রধানের লোকজন। এরপর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। উল্টে পরামর্শ দেওয়া হয় যে, মান্তু সাহার সঙ্গে কথা বলে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে। ব্যবসায়ীর আরও অভিযোগ, তিনি যখন দত্তপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যান, তখন থানার এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ নেওয়া যাবে না। কারণ, তখন মান্তু দলবল নিয়ে থানায় উপস্থিত ছিলেন। হোটেল চালানো নিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। তা দেননি বলেই এই ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ নিয়ে মান্তু সাহা বলেন, হোটেলের আড়ালে দেহ ব্যবসা চলছিল। রেজিস্ট্রার খাতা থেকেই তা স্পষ্ট। তাছাড়া যে ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে উনি ব্যবসা করছেন, সেটিও সঠিক নয়। ওঁর ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে দত্তপুকুরে, আর ব্যবসা করছেন চালতাবেড়িয়ায়। সর্বোপরি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতেই এলাকার মানুষ হোটেলটি বন্ধ করার কথা বলেছেন। তবে ভাঙচুরের ঘটনা ঠিক হয়নি। আমি বিষয়টি জানার পরেই উত্তেজিত জনতাকে সরিয়ে নিয়েছি। স্পষ্টভাবে বলছি, এলাকায় অবৈধ কাজ কখনই হতে দেওয়া যাবে না। ঘটনায় বারাসত জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (জোনাল) অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সোমবার বিকেলে আসতে বলা হয়েছে। ওর সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে কথা বলা হবে। ভাঙচুরের অভিযোগ নিয়ে থানা ইতিমধ্যেই কেস শুরু করেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)