• মালদহে পাঁচ পুজো কমিটির ২০ লক্ষ টাকা অগ্রিম গায়েব
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলার প্রতিটি পাড়ায় এখন সাজ সাজ রব। মণ্ডপশিল্পী, কারিগর, মৃৎশিল্পীরা দিন-রাত এক করে ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে। কিন্তু এই আবহেই বড়সড় বিপদে পড়েছে মালদহ শহরের পাঁচটি বড় বাজেটের পুজো কমিটি। অভিযোগ, অগ্রিম মোটা টাকা নিয়ে মাঝপথে মণ্ডপ তৈরির কাজ ছেড়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন এক থিমশিল্পী ও তাঁর দল। এই ঘটনায় ওই পাঁচটি পুজো কমিটি মালদহ থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শিল্পী ও তাঁর দলের খোঁজ চলছে।

    প্রতারিত পাঁচটি পুজো কমিটি হল— বালুচর কল্যাণ সমিতি, দিলীপ স্মৃতি সংঘ, বিএস রোড বেলতলা ক্লাব, কুতুবপুর হিমালয় সংঘ এবং কৃষ্ণপল্লি কল্যাণ সংঘ। সব ক’টি পুজোই থিমভিত্তিক মণ্ডপের জন্য সুদীপ্তকে বরাত দিয়েছিল। অভিযোগ, কারও কাছে সাড়ে ছ’ লক্ষ, কারও কাছে পাঁচ লক্ষ, কারও কাছে আবার সাড়ে চার লক্ষ টাকা অগ্রিম নিয়েছিলেন তিনি। কাজ শেষের আশ্বাস দিলেও হঠাৎ কাজ বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছেন।

    পুলিশ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিল্পীর নাম সুদীপ্ত পাল। তিনি নিজেকে কখনও কলকাতার যাদবপুর, কখনও বেহালার বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছেন। বড় বড় মণ্ডপ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন। তাঁর কথায় ভরসা করেই শহরের পাঁচটি নামী পুজো কমিটি মণ্ডপ তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিল। অভিযোগ, সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা অগ্রিম নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই উধাও হয়ে যান। জানা গিয়েছে, মালদহের একটি হোটেলে ছিলেন সুদীপ্ত ও তাঁর সহকর্মীরা। কিন্তু হোটেলের বিল না মিটিয়েই চম্পট দিয়েছেন।

    প্রতারিত এক পুজো কমিটির সম্পাদক অমিতাভ শেঠ হতাশ হয়ে বলেন, ‘এখন আর কিছু করার নেই। স্থানীয় শিল্পীদের হাত-পা ধরে কাজ করাতে হচ্ছে। কিন্তু থিমের সঙ্গে মণ্ডপের মিল আর রাখা যাবে না।’

    প্রসঙ্গত, পুজোর মরশুমে এরকম প্রতারণার ঘটনা নতুন নয়। তবে একসঙ্গে পাঁচটি বড় বাজেটের পুজো এভাবে প্রতারিত হওয়ায় জেলার সাংস্কৃতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উদ্যোক্তাদের আশঙ্কা, শেষ মুহূর্তে মণ্ডপ তৈরি অসম্পূর্ণ থাকলে দর্শনার্থীর ভিড় ও আনন্দে ভাটা পড়তে পারে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)