• হাসপাতালের নাম পরিবর্তন হলেও সরকারি কর্মীর চিকিৎসার টাকা পরিশোধ করতে হবে সরকারকে, মত বেঙ্গালুরু হাইকোর্টের
    এই সময় | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • হাসপাতালের নামের সামান্য পরিবর্তন হলেও তার পরিচয় এবং পরিষেবার কোনও পরিবর্তন হয় না। সেই কারণেই সরকারি কর্মীদের হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ পরিশোধ করে দিতে হবে সরকারকে, একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বেঙ্গালুরু হাইকোর্টের ধারওয়াড় বেঞ্চ।

    বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা শিবনন্দাপ্পা ডড্ডেগৌড়া হাভেরি এলাকার রানেবেন্নুর একটি প্রথম সারির সরকারি কলেজের অধ্যাপক। অসুস্থ হওয়ার পরে বেঙ্গালুরুর ‘কস্তুরবা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মনিপাল’-এ চিকিৎসা হয় তাঁর। কিন্তু তারপরেই বাধে বিপত্তি। হাসপাতালে তাঁর মোট বিল হয় ১৪ লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই বিল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিলে সরকারি তরফে সেই টাকা পরিশোধ করা হবে না বলে জানানো হয়। কারণ হিসেবে বলা হয় ওই হাসপাতালের নাম পরিবর্তিত হয়ে কস্তুরবা হসপিটাল, মনিপাল হয়েছে, যা তাঁদের অনুমোদিত হাসপাতালের তালিকায় নেই।

    শিবনন্দাপ্পার দাবি, ওই হাসপাতালটি সরকারি অনুমোদনের তালিকায় রয়েছে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করা হয়। হাসপাতালের তরফে তাদের পরিবর্তিত নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানানো হলেও নাম পরিবর্তন করা হয়নি। কর্নাটকের উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবং সুবর্ণ আরোগ্য সুরক্ষা ট্রাস্টের দাবি, তাঁদের অনুমোদন তালিকায় থাকা হাসপাতালের নামের সঙ্গে রোগীর যে হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে, তার নাম এক হলে তবেই চিকিৎসায় খরচ হওয়া টাকা পরিশোধ করা হবে।

    সরকারের এই যুক্তি খণ্ডন করে বেঙ্গালুরু হাইকোর্টের বিচারপতি সুরজ গোবিন্দরাজ বলেন, হাসপাতালের নামের সামান্য পরিবর্তন হলেও তার আসল পরিচয় এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন হয়নি। সুতরাং সরকার ওই ব্যক্তিকে তাঁর প্রাপ্য টাকা দিতে অস্বীকার করতে পারে না। বিচারক সরকারকে টাকা পরিশোধের আবেদনটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য ছ’সপ্তাহ সময় দিয়েছেন।

  • Link to this news (এই সময়)