বাইক-টোটো থেকে সোনার গয়না-নগদ টাকা, বিপুল সম্পত্তি নিয়ে হুগলির বৃদ্ধ যা করতেন, জানলে চমকে যাবেন...
আজকাল | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার সন্ধ্যায় চন্ডীতলা থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন চন্ডীতলা এসডিপিও তমাল সরকার। এসডিপিও বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে চন্ডীতলার গরলগাছা বরিজহাটিতে চাঁদ বাবু নামে এক বৃদ্ধের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেই বাড়ি থেকে আটটি বাইক, একটি টোটো, ১২ গ্রাম সোনার গয়না, ১৮৫ গ্রাম রূপোর গয়না, ছ’টি মোবাইল ফোন ও নগদ এক লক্ষ বাহাত্তর হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এইসব জিনিসের বৈধ কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি বৃদ্ধ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তিনি এইসব চোরাই জিনিস বন্ধক রেখে চড়া সুদে টাকা ধার দিতেন।পরে সেই জিনিস অন্যত্র পাচার করে দেওয়া হত। এমনকি, দুস্কৃতীমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত এমন অনেকের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে অভিযুক্তের।
উদ্ধার হওয়া বাইক, গয়না ও অন্যান্য জিনিস আসলে কাদের সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে। জানা গিয়েছে, সোমবার অভিযুক্তকে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই কারবারে ওই বৃদ্ধ ছাড়াও আর কাদের যোগ রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এই ধরনের বেআইনি কাজ যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে হুগলি গ্রামীন পুলিশ। হুগলিতে এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে প্রতারণা চক্রের কথা সামনে এসেছে। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
কিছুদিন আগেই পুলিশের পোশাক পরে, তৃনমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে। ৫০ লক্ষ টাকা দাবি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে,পোলবায় গ্রেপ্তার করা হয় দুই ভুয়ো পুলিশকে। উদ্ধার পুলিশের পোশাক ও নকল অস্ত্রের খাপ। পোলবা থানায় ডিএসপি ডিএন্ডটি প্রিয়ব্রত বক্সি জানান, পুলিশ সেজে তোলাবাজির অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম সৌমদীপ সাঁতরা(২৮), বাড়ি বলাগড়ের কুন্তিঘাটে, প্রতাপ ঘোষ(৩৬), বাড়ি মগড়ার তালান্ডু মালিপাড়া। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পুলিশের পোশাক,পিস্তল রাখার খাপ,দুটি মোবাইল ফোন,কার্তুজের ব্যাগ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই ভুয়ো পরিচয়ে এই দুই অভিযুক্ত বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণা চালাত।
তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এর পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কি না। সুগন্ধা দিল্লি রোডের পাশে কারখানা রয়েছে তপন মজুমদারের। সেই কারখানাতে দফায় দফায় বেশ কয়েকবার পুলিশ সেজে গিয়েছিল অভিযুক্তরা। পুলিশের পোশাক পরে কারখানায় ঢুকে কর্মীদেরকে ভয় দেখানো ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করা স্করপিও গাড়ির চাবি নিয়ে নেওয়া সবই করে তারা। এক লক্ষ্য ৬৫ হাজার টাকা ফোন পের মাধ্যমে এবং নগদে তাদের দেন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী বলেন,হুগলি সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, চট্টগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্তর সঙ্গে ছবি দেখিয়ে শাসক দল ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে অভিযুক্তরা। টাকা না দিলে ব্যবসা করতে পারবেন না বলেও হুমকি দেওয়া হয় ব্যবসায়ীকে। এরপরই পোলবা থানা বিষয়টি জানতে পারে। তারপরই দুই ভুয়ো পুলিশকে গ্রেপ্তার করা হয়।