উৎসবের আবহে আঁটসাঁট নিরাপত্তা, মহিলা পুলিশ টিম থেকে সিসি ক্যামেরা, চন্দননগরে একগুচ্ছ পদক্ষেপ পুলিশের ...
আজকাল | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি বছরে দুর্গাপুজোয় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা চন্দননগর পুলিশের। উইনার টিম, মহিলা পুলিশের টিম, সিসি ক্যামেরায় চলবে নজরদারি। চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে পুজো কমিটিগুলোকে নিয়ে এক সমন্বয় বৈঠক হয়।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, হুগলি জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভাল গি, দুই বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত ও অসিত মজুমদার, চন্দননগর কর্পোরেশনের মেয়র রাম চক্রবর্তী, অতিরিক্ত জেলাশাসক, সদর মহকুমা শাসক, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, বিদ্যুৎ দপ্তর, দমকল বিভাগ এবং পুলিশ আধিকারিকরা।
মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের দেওয়া এক লক্ষ দশ হাজার টাকা অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয় পুজো কমিটিগুলোকে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত ১৭০০-এর বেশি দুর্গা পুজো কমিটি এবার সরকারের অনুদানের চেক পাবে।
পুলিশ কমিশনার জানান, এর আগে শ্রীরামপুর উত্তরপাড়ায় পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে প্রশাসনের সমন্বয় বৈঠক করা হয়েছে। আজ চুঁচুড়ায় হল। পুজোর সময় ভিড় সামলাতে পুলিশের পাশাপাশি পুজো কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদেরও প্রয়োজন হবে। পুজোর প্যান্ডেলে প্রবেশ ও বেরোনোর রাস্তা ঠিকমতো আছে কিনা, সব নিয়ম মেনে পুজো হচ্ছে কিনা, তা সরেজমিনে দেখছেন পুলিশ কমিশনার।
পুলিশ কমিশনার জানান, প্রতিবছরই হুগলিতে দুর্গাপুজোয় দর্শনার্থীদের ভিড় হয়। সেই কথা মাথায় রেখেই একগুচ্ছ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে পুজো কমিটিগুলোকে। পাশাপাশি পুলিশও সতর্ক থাকবে।মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।মহিলাদের উইনারস টিম যেমন থাকবে, পাশাপাশি সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশ কর্মীরাও বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালাবেন।
প্রশাসন, পুরসভার পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। রেল স্টেশনগুলোতো বাড়তি নজরদারি থাকবে। পুজোর দিনগুলোতে যাতে মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকেও নজর রাখা হবে।যেসব জায়গায় খুব ভিড় হয়, সেখানে অটো এবং টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কিছু জায়গায় নো এন্টি থাকবে। দুর্গা পুজো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ ও প্রশাসন সব রকম ভাবে প্রস্তুত আছে। এদিন রবীন্দ্রভবনে পুজো গাইড ম্যাপ উদ্বোধন করা হয়।
প্রসঙ্গত, দুর্গা পুজোর পাশাপাশি জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরেও আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে চন্দননগর পুলিশ। চন্দননগরে শোভাযাত্রা রুটে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ করতে অভিযান শুরু হয়েছে। জেসিবি মেশিন দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল একের পর এক নির্মাণ।
গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজ্য জুড়ে সরকারি জায়গা ফুটপাত যাঁরা দখল করে রেখেছেন, তাঁদের উচ্ছেদ করতে হবে। সেই মতো বিভিন্ন শহরে শুরু হয়েছিল সেই উচ্ছেদ অভিযান। চন্দননগরেও উর্দি বাজার এলাকায় রাস্তার দু'পাশের বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ করতে নোটিশ করে কর্পোরেশন। তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস ছিল সেখানে। সেই অফিসও খুলে সরিয়ে নেওয়া হয়। কিছু দোকান যাঁরা রাস্তার জায়গা দখল করেছিলেন, তাঁরাও পিছিয়ে যান।তবে সম্পূর্ণ দখলদার মুক্ত হয়নি।
চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী জানান, আজ সেই উচ্ছেদ অভিযান চলছে। কোন বাধার সম্মুখীন না হয়েই।এর আগে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং করা হয়েছে এ নিয়ে। মূলত চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রার রুটেই রয়েছে এই উর্দি বাজার। সেই রাস্তার দু'দিকে দখল করে রাখায় শোভাযাত্রার ক্ষেত্রেও যেমন সমস্যা হত, সাধারণ পথচলতি মানুষেরও সমস্যা হত। তাই চন্দননগর কর্পোরেশন ঠিক করে, বেআইনি দখল উচ্ছেদ করে সেখানে ফুটপাত তৈরি করে দেওয়া হবে এবং রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। চন্দননগরের অন্যান্য রাস্তাতেও একইভাবে ফুটপাত এবং রেলিং দেওয়া হয়েছে।
মেয়র বলেন, চন্দনগর উর্দি বাজার এবং মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে।