• কলকাতায় মেট্রোতে বাড়ছে নিরাপত্তা, দক্ষিণেশ্বরের ঘটনার পর ৮০০ অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা...
    আজকাল | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতার মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। সম্প্রতি দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে ঘটে যাওয়া এক দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই ৮০০ জন অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা হবে। এর ফলে যাত্রী সুরক্ষা আরও জোরদার হবে এবং ভিড়ের সময় যাত্রীরা আরও নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারবেন।

    মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের চলাচল নিয়মিতভাবে নজরদারি করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে। প্রতিটি স্টেশনে প্রবেশের সময় যাত্রীদের ফ্রিস্কিং করা হচ্ছে এবং ব্যাগেজ স্ক্যানার ও দরজা ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর (DFMDs)-এর মাধ্যমে লাগেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাত্রীদের সন্দেহজনক আচরণ বা চলাফেরা নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে ১২ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া ঘটনাটি প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি ছিল একেবারেই ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং স্কুল পড়ুয়া কয়েকজনের সঙ্গে জড়িত। কর্তৃপক্ষের মতে, প্রতিদিন বহু অফিসগামী কর্মী ও ছাত্রছাত্রী মেট্রো ব্যবহার করেন, তাই কিছু সীমিত পরিসরে যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জাম বহনের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে মেট্রো প্রশাসন জোর দিয়ে বলেছে, কলকাতার মেট্রো এখনো পর্যন্ত শহরের সবচেয়ে নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবহণ ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, যাত্রীদের সহযোগিতা ছাড়া এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর হবে না। তাই কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছে, যাত্রীরা যেন কোনো অবস্থাতেই নিরাপত্তা প্রটোকল ভঙ্গ না করেন এবং ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর বা ব্যাগেজ স্ক্যানার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা না করেন। নিয়ম মেনে চললে যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা আরও সহজ হবে।

    মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে যে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। যাত্রীদের বলা হয়েছে, কলকাতা মেট্রো সম্পূর্ণ নিরাপদ, আরামদায়ক ও খরচ সাশ্রয়ী ভ্রমণের সুযোগ প্রদান করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। নতুন করে যে ৮০০ জন নিরাপত্তা কর্মী যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা কার্যকর হলে নিরাপত্তা আরও দৃঢ় হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্তে মেট্রো যাত্রীদের মধ্যে আস্থা বাড়বে। একই সঙ্গে নিয়মিত নজরদারি, প্রযুক্তিগত সুরক্ষা এবং যাত্রীদের সহযোগিতার মাধ্যমে শহরের এই প্রধান গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য করে তোলা সম্ভব হবে।
  • Link to this news (আজকাল)