• নোয়া খুলতে অস্বীকার, পরীক্ষা না দিয়েই ফিরে গেলেন সদ্য বিবাহিতা SSC পরীক্ষার্থী
    আজ তক | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সদ্য বিয়ে হয়েছে। তাই নোয়া খুলতে রাজি হলেন না। এদিকে, পরীক্ষাকেন্দ্রের নিয়মে বদল সম্ভব নয়। ফলে পরীক্ষা না দিয়েই বাড়ি চলে গেলেন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির SSC পরীক্ষার্থী। রবিবার এই ঘটনা ঘটে কালনা হিন্দু গার্লস স্কুলে। এই নিয়ে এখনও চলছে চর্চা। ১৪ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা হলে ঢোকার সময় হাতের নোয়া খুলতে বলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন এক SSC পরীক্ষার্থী। কোনওমতেই এই নিয়ম মানতে রাজি হননি তিনি। শেষ পর্যন্ত নোয়া না খুলে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সোজা বাড়ির পথ ধরেন। 

    সধবা মেয়ে। শাখা-সিঁদুর, নোয়া খোলা অমঙ্গল। বিবাহিত ওই মহিলা পরীক্ষার্থীর বক্তব্য, 'পরীক্ষা না দিতে পারি, দেব না। কিন্ত নোয়া কিছুতেই খুলব না।' পরীক্ষার আগে ধাতব সামগ্রী খোলার নির্দেশে ছিল SSC পরীক্ষায়। কিন্তু গোল বাঁধে কালনা হিন্দু গার্লস স্কুলের পরীক্ষা সেন্টারে। এক বিবাহিত ছাত্রী হাতের নোয়া খুলতে অস্বীকার করেন। তর্কাতর্কি হয় পরীক্ষাকেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে। শেষমেষ তিনি পরীক্ষা না দিয়েই কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর দেখাদেখি আরও কয়েকজন পরীক্ষার্থী আপত্তি তুলতে শুরু করেন। যদিও পরবর্তীতে নোয়া খুলেই পরীক্ষায় বসেন তাঁরা। 

    পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তার স্বার্থে শাখা, পলা, নোয়া সহ কোনও ধাতব সামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। মোট ৩৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একমাত্র ওই ছাত্রী নিয়ম মানতে রাজি না হওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরীক্ষার্থীর পরিবারের প্রশ্ন, 'সধবা মেয়েদের শাখা–নোয়া খোলা কেন বাধ্যতামূলক?' ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জানান, এরকম অভিযোগ তাঁদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি। নোয়া বিতর্ক ঘিরে নিরাপত্তা বিধি ও সামাজিক বিশ্বাসের ভারসাম্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে সর্বত্র। 

    যে কোনও সর্বভারতীয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে এটাই নিয়ম বলে জানিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন। রীক্ষা হলে ঢোকার আগে ধাতব কোনও বস্তু সঙ্গে রাখা যায় না। পুরুষদের ক্ষেত্রেও বেল্টে লোহার অংশ থাকায় তা খুলে ফেলতে হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, নিয়োগবিধির বিজ্ঞপ্তিতেই এই সমস্ত নির্দেশিকা দিয়ে দেওয়া ছিল। কী কী নিয়ে ঢোকা যাবে এবং কী কী নেওয়া যাবে না, সে বিষয়ে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতেও নির্দেশ দেওয়া ছিল।

    রিপোর্টার: সুজাতা মেহেরা

     
  • Link to this news (আজ তক)