সমবায় ভোটের জেতার পর বোমাবাজির অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থীকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির দুই নম্বর ব্লকের জনকা অঞ্চলের ঘটনা। ওই এলাকার গোড়াহার সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে শনিবার থেকেই অশান্তি শুরু হয়। প্রথমে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ তোলে বিজেপি। যদিও সেই অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসকদল।
রবিবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলাকালীনও এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। বিকেলে ফলাফল ঘোষিত হলে দেখা যায়, ৯টি আসনের সবকটিতেই বিজেপি জয়লাভ করেছে। এই নিয়ে খেজুরি-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সমুদ্ভব দাস বলেন, ‘খেজুরি ২ নম্বর ব্লক এলাকায় বিজেপির প্রভাব রয়েছে। দুটো ভোটে তো আমরা কাজই করতে পারিনি। ওরাই জোর জুলুম করে, আমাদের ভোটারদের গালিগালাজ করে। এলাকায় সন্ত্রাস কায়েম করে রেখেছে।’
তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের ফল বেরোতেই এলাকায় সন্ত্রাস শুরু করে বিজেপি। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, মানুষের ভোটে নয়, ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস করে সমবায়ে ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে বোমাবাজিও হচ্ছে এলাকায়। সমুদ্ভব দাস বলেন, ‘বিজেপি জেতার পরই তাণ্ডব শুরু করেছে। সোমবার সকালেও তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে চড়াও হয়ে পরিবারের লোককে মারধর করেছে বিজেপি। রাতভর তুমুল বোমাবাজি করেছে ওরা। উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা।’
তৃণমূলের এই দাবি নস্যাৎ করে খেজুরি দুই পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা, বিজেপির পবিত্র দাস বলেন, ‘পরাজয়ের ভয়ে ওরা শনিবার রাত থেকে বোমাবাজি করতে শুরু করে। মানুষ যোগ্য জবাব দিয়েছে। এই জয় মানুষের জয়।’