অর্ণবাংশু নিয়োগী ও বিক্রম দাস: অগাস্টে এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই মামলাতে জামিন পান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তখনও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঝুলিতে ছিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। সেই মামলায় জামিনের শুনানির আবেদন সোমবার শেষ হল। এই মামলায় জামিন মঞ্জুর হলেই জেলমুক্তি হবে তাঁর। এই আশাতেই চাতক পাখি হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জামিন মঞ্জুর হলেই পুজোর আগে জেল মুক্তি হতে পারে পার্থর!
তবে পার্থর আশায় একেবারেই জল ঢেলে দিল আদালত। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, এই মামলার তদন্ত শেষ হবে না। রিজওয়ানূর, সারদা মামলার তদন্ত এখনও চলছে। সিবিআই তদন্ত করে চলছে।
অন্যদিকে, এসএসসি নবম দশম শ্রেণীর সিবিআই এর মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ২৬ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করল আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালত। সেখানে পার্থর আইনজীবী প্রশ্ন করেন যে, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে সেই একই অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইনজীবীর পালটা বিচারক বলেন, 'আমি যেটুকু কেস ডায়েরি দেখেছি, যেকোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট-এর ক্ষেত্রে ফাইল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে সেটা হয়নি। সরাসরি এসএসসি ও শিক্ষাদফতরে গিয়েছে।' আইনজীবী বলেন, 'সেটা সিবিআই-এর অভিযোগ মাত্র। কোনও নিরপেক্ষ সাক্ষীর বয়ান নেই যে উনি আইনি বা বেআইনি নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত। সব ভিত্তিহীন অভিযোগ, জামিনের আবেদন করছি।'
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সাল থেকে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখনও তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই রয়েছেন।