• পুজোয় অতিথিদের হাতে বাংলার তৈরি উপহার, গ্রামীণ হস্তশিল্পীদের পাশে শহরের পুজো কমিটি
    প্রতিদিন | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: বাঙালির জন‌্য। বাঙালির দ্বারা। বাংলার উপহার। শহর কলকাতার পুজোকে (Durga Puja 2025) অবলম্বন করে বদলে যাচ্ছে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পীদের ভাগ‌্য। কারিগরদের হাসি আরও চওড়া করছে বাংলার পুজো উদ্যোক্তাদের নয়া নীতি। “পুজোর অতিথিদের হাতে দেব বাংলার তৈরি উপহার।” 

    এ উদ্যোগের বীজ বোনা তৈরি হয়েছিল আগেই। রবিবার ফসল ফলল ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে যেখানে শুরু হয়েছিল বেঙ্গল ফেস্টিভ‌্যাল ফেয়ার। পুজোর মেলা। যে মেলায় হাতে গড়া পসরা নিয়ে এসেছিলেন মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের শিল্পীরা। রবিবার তাঁদের হাতের তৈরি পাটের ব‌্যাগ, ঝিনুকের গয়না, ঘর সাজানোর মাটির জিনিস, সিল্কের শাড়ি, তাঁতের কাপড়ের পসরায় ছিল ক্রেতাদের হুড়োহুড়ি। কারণ?

    তৃণমূলের রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের আহ্বানে শহর কলকাতার নামজাদা পুজোর উদে‌্যাক্তারা হাজির হয়েছিলেন বেঙ্গল ন‌্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ‌্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত বেঙ্গল ফেস্টিভ‌্যাল ফেয়ারে। তাঁরা ঘুরলেন, দেখলেন, কিনলেন বাংলার তৈরি সামগ্রী। বৃন্দাবন মাতৃ মন্দির, শ‌্যামপুকুর স্ট্রিট সর্বজনীন, রামমোহন সম্মিলনী, সমাজসেবী, উত্তর কলকাতা সর্বজনীন, শ্রীভূমি স্পোর্টিং, উল্টোডাঙা জয়ন্তী স্পোর্টিং ক্লাব, বেলেঘাটা ৩৩ পল্লি, ট‌্যাংরা ঘোলপাড়া সর্বজনীন, হরিনাথ দে রোড সর্বজনীন, যুগিপাড়া রোড পুজো কল‌্যাণ সমিতি, দক্ষিণেশ্বর ডোমেস্টিক এরিয়া দুর্গাপুজো সমিতি, বেলেঘাটা ৩/১ পল্লি উন্নয়ন সমিতি, ওয়ার্ডস ইনস্টিটিউশন স্ট্রিট দুর্গাপুজো সমিতির কর্মকর্তারা একযোগে জানালেন, ‘‘এমন উদ্যোগ যুগ যুগ জিও।” 

    শহর কলকাতায় তিন হাজারের বেশি দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025)। গ্রামবাংলা ধরলে সংখ‌্যাটা চল্লিশ হাজারেরও বেশি। কুণালের কথায়, “প্রতিটি পুজোতেই অতিথিরা আসেন উদ্বোধনে। তাঁদের হাতে সম্মান হিসাবে তুলে দেওয়া হয় কিছু না কিছু উপহার। তা যদি বাংলার শিল্পীদের তৈরি হয় তবে লাভের অঙ্ক বাড়বে বাংলার শিল্পীদের। সেই চিন্তা থেকেই পুজো উদ্যোক্তাদের ডাকা।’’

    রবিবার এই উদ্যোগে হাজির ছিলেন বিএনসিসিআই-এর সভাপতি অশোক বণিক, কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী, অরূপ চক্রবর্তী, অরিঞ্জয় বোস, সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য‌, বৃন্দাবন মাতৃমন্দিরের কর্মকর্তা শিবেন্দু মিত্র, পুজো উদে‌্যাক্তা যুব তৃণমূল নেতা মৃত‌্যুঞ্জয় পাল, পুজো পাগল বর্ণ বর্মন, অনির্বাণ সেনগুপ্ত। হাজির ছিলেন মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক, কামারহাটি পুরসভার কাউন্সিলরও।

    রবিবার মেলা শেষ হল ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। তবে চাইলে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন বিএনসিসিআই-এর সঙ্গে। কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘মেলা রবিবার শেষ। কিন্তু শিল্পীরা নিজেদের জায়গায় থেকে যাবেন। যাঁরা বাঙালি শিল্পীদের তৈরি জিনিস সংগ্রহ করতে চান যোগাযোগ করুন বিএনসিসিআই-এর সঙ্গে।’’ ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বেঙ্গল ফেস্টিভ‌্যাল ফেয়ারে শিল্পীরা এসেছিলেন মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, নদিয়া থেকে। এনেছিলেন শোলার দুর্গা, পাটের তৈরি ঘর সাজানোর সামগ্রী, সিল্কের শাড়ি, বাংলার নিজস্ব শীতল পানীয়, সুতোর কাজের টি-শার্ট।

    শহর কলকাতার পুজোর সঙ্গে যুক্ত কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তীও। তিনিও সংগ্রহ করেছেন বাঙালি শিল্পীদের তৈরি জিনিস। বলেছেন, ‘‘গোটা বাংলা একত্রিত হয়েছে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। যেখানে হিন্দিভাষী রাজ্য বাঙালিকে অপদস্থ করা হচ্ছে সেখানে বাঙালির পাশে দাঁড়ান। আমাদের নিজের কৃতিত্বে আমরাই সেরা। আজ বাংলা যা ভাবে ইন্ডিয়া তা ভাবে আগামীকাল। নিজেদের স্থানীয় শিল্পীদের সাহায‌্য করো। বাংলার দেখাদেখি একদিন এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়বে অন‌্যান‌্য রাজে‌্যর উৎসবেও।’’

    সম্মান হিসাবে তুলে দেওয়া হয় কিছু না কিছু উপহার। তা যদি বাংলার শিল্পীদের তৈরি হয় তবে লাভের অঙ্ক বাড়বে বাংলার শিল্পীদের। সেই চিন্তা থেকেই পুজো উদ্যোক্তাদের ডাকা।” রবিবার এই উদ্যোগে হাজির ছিলেন বিএনসিসিআই-এর সভাপতি অশোক বণিক, কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী, অরূপ চক্রবর্তী, অরিঞ্জয় বোস, সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য‌, বৃন্দাবন মাতৃমন্দিরের কর্মকর্তা শিবেন্দু মিত্র, পুজো উদে‌্যাক্তা যুব তৃণমূল নেতা মৃত‌্যুঞ্জয় পাল, পুজো পাগল বর্ণ বর্মন, অনির্বাণ সেনগুপ্ত। হাজির ছিলেন মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক, কামারহাটি পুরসভার কাউন্সিলরও। রবিবার মেলা শেষ হল ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। তবে চাইলে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন বিএনসিসিআই-এর সঙ্গে। কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “মেলা রবিবার শেষ। কিন্তু শিল্পীরা নিজেদের জায়গায় থেকে যাবেন। যাঁরা বাঙালি শিল্পীদের তৈরি জিনিস সংগ্রহ করতে চান যোগাযোগ করুন বিএনসিসিআই-এর সঙ্গে।”

    ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বেঙ্গল ফেস্টিভ‌্যাল ফেয়ারে শিল্পীরা এসেছিলেন মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, নদিয়া থেকে। এনেছিলেন শোলার দুর্গা, পাটের তৈরি ঘর সাজানোর সামগ্রী, সিল্কের শাড়ি, বাংলার নিজস্ব শীতল পানীয়, সুতোর কাজের টি-শার্ট। শহর কলকাতার পুজোর সঙ্গে যুক্ত কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তীও। তিনিও সংগ্রহ করেছেন বাঙালি শিল্পীদের তৈরি জিনিস। বলেছেন, “গোটা বাংলা একত্রিত হয়েছে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। যেখানে হিন্দিভাষী রাজ্যে বাঙালিকে অপদস্থ করা হচ্ছে সেখানে বাঙালির পাশে দাঁড়ান। আমাদের নিজের কৃতিত্বে আমরাই সেরা। আজ বাংলা যা ভাবে ইন্ডিয়া তা ভাবে আগামীকাল। নিজেদের স্থানীয় শিল্পীদের সাহায‌্য করো। বাংলার দেখাদেখি একদিন এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়বে অন‌্যান‌্য রাজ্যের উৎসবেও।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)