সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে। ওষুধ দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে একটি রুমে ওই অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার সংস্থার ফেসিলিটি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ। পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী। তমলুক মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আফজাল আবরার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
অভিযোগপত্রে তমলুক থানা এলাকার ওই তরুণী লিখেছেন, তিনি যে সংস্থার অধীনে কাজ করেন, সেই সংস্থারই ফেসিলিটি ম্যানেজার রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁকে ধর্ষণ করে। কাউকে না বলার জন্য হুমকিও দেয়। এর আগেও অভিযুক্ত এ কাজ করেছে বলে অভিযোগপত্রে লিখেছেন তরুণী।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ, অভিযুক্ত শাসকদলের ঘনিষ্ঠ। সেই ক্ষমতার বলে এই ধরনের অপরাধের সাহস পেয়েছে।
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সিন্টু সেনাপতি বলেন, ‘পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘটনা আজকের নয়। আর অভিযুক্ত নিজেকে পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা বলে দাবি করে। গত ১০ বছর ধরে নানা অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যক্তি। অবৈধ টেন্ডার, ওষুধের বেআইনি কারবার, সব কিছুতে যুক্ত। হাসপাতালের কর্মীরা সকলে ওর ভূমিকায় অখুশি। কিন্তু ওর মাথার উপরে কারও একটা হাত আছে। তাই কর্মীরা কারও কাছে অভিযোগ করতে পারেনি।’
পাল্টা তৃণমূল নেতা শেখ সমিরুদ্দিনের বক্তব্য, ‘আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। এটা বিকৃত মানসিকতার প্রকাশ। এর কড়া শাস্তি চাই। আর এরা তৃণমূলের কোনও পদাধিকারী নয়। দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ নিজেদের প্রভাবশালী প্রমাণের চেষ্টা করে। ওর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’