• 'একদিন বাড়িতে এসো', বাড়িতে ডেকে সাইকেলের চেন দিয়ে মারধর, যুবকের গোপনাঙ্গে পরপর পিন ফুটিয়ে দিলেন যুবতী, ভিডিও করলেন স্বামী...
    আজকাল | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: হইচই কেরলে। এক দম্পতির কার্যকলাপে রীতিমতো ঝড় আলোচনার। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি দুই যুবককে বাড়িতে ডেকে এনে অকথ্য অত্যাচার করেছেন। তাঁদের গোপনাঙ্গে পিন ফুটিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর, ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    জানা গিয়েছে, নির্মম অত্যাচারের পরিকল্পনা করেই ওই দম্পতি দুই যুবককে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কোইপুরমের কাছে চরালকুন্নুর বাসিন্দা দুই অভিযুক্ত হলেন জয়েশ এবং তাঁর স্ত্রী রেশমি। পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পর, তথ্য সামনে এসেছে।

    কোইপুরম থানায় দায়ের করা এফআইআরে অনুযায়ী তথ্য, নীলামপেরুরের ১৯ বছর বয়সী প্রথম ব্যক্তিকে ওই দম্পতি বেঁধে রেখেছিলেন, ছুরি দিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল তাঁকে, লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়েছিল, সাইকেলের চেন দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। অত্যাচারের আগে দম্পতি তাঁর দুটি মোবাইল ফোনই কেড়ে নিয়েছিলেন। শুধু এটুকুই নয়, স্বামী-স্ত্রী মিলে, ওই যুবকের যৌনাঙ্গে পিপার-স্প্রে করেন, তাঁর মানিব্যাগ থেকে ১৯,০০০ টাকা চোখের সামনেই নিয়ে নেন এবং মারধরের পর তাঁকে মাঝরাস্তায় ফেলে আসেন। সঙ্গে হুমকিও দেন, এই ঘটনা যেন কাউকে জানানো না হয়।

    ৫ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় যুবক, যিনি আগে জয়েশের সঙ্গে কাজ করতেন, তাঁকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন। তাঁর যৌনাঙ্গ-সহ শরীরের ২৩টি জায়গায় পিন ফুটিয়ে দেন দম্পতি এবং একটি নির্জন এলাকায় ফেলে দেওয়ার আগে টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় জোর করে। এতটাই আহত হন, একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

    জানা যায়, আহত ব্যক্তি প্রথমে জানিয়েছিলেন, তাঁকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা আক্রমণ করেছেন। যদিও পরে তিনি স্বীকার করেন জয়েশ এবং তাঁর স্ত্রী রেশমি আমন্ত্রণ জানিয়ে মারধর করেছেন। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, রেশমি সন্ধে আটটা নাগাদ তাঁকে মারধর শুরু করেন। তাঁর গোপনাঙ্গে পরপর পিন ফুটিয়ে দেন রেশমি এবং গোটা ঘটনাটি মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন জয়েশ নিজে। 

    ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, দুই যুবকের মধ্যে একজন দাবি করেছেন, তাঁদের উপর কালা জাদুর চেষ্টা করেছেন দম্পতি। যদিও পুলিশ জানিয়েছে এসব বিষয়ে তদন্ত আরও জোরদার করা হবে। 

    অন্যদিকে, তেলেঙ্গানায় এদিন প্রকাশ্যে এসেছে যৌনহেনস্থার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই জেলার নাকরেকাল এলাকার জেলা পরিষদ হাই স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রী ওই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছে। টানা তিন মাস ওই শিক্ষক যৌন হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ জানিয়েছে সে। শিক্ষকের যৌন হেনস্থার জেরে মানসিকভাবে ভেঙেও পড়েছে ওই ছাত্রী। লাগাতার স্কুলে যৌন হেনস্থার পর বাবাকে বিষয়টি প্রথমে জানায় ওই ছাত্রী। শিক্ষক সুযোগ পেলেই কীভাবে যৌন হেনস্থা করত, তাও জানায় পরিবার। এরপর ওই শিক্ষকের কাছে ছাত্রীর অভিযোগ জানায় পরিবার। বিষয়টি নিয়ে অশান্তির পরেই থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় ছাত্রীর পরিবার। 

    ছাত্রীর পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানোর পরেই ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে সাসপেন্ড করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো ধারাতেও মামলা রুজু করেছে পুলিশ।‌ এই ঘটনার পরেই আরও একাধিক ছাত্রী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হেনস্থা ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছে। অভিভাবকরাও ঘটনাটি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। 

     
  • Link to this news (আজকাল)