• সিকিমে পাহাড়ে ধস নেমে মৃত্যু, কার্শিয়াং ও দার্জিলিংয়ের একাধিক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
    আজ তক | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • Sikkim Landslide Death: ফের ভূমিধস পশ্চিম সিকিমে। প্রবল বর্ষণের জেরে গোটা এলাকার পাহাড়ি ঢাল ধসে পড়ছে একের পর এক জায়গায়। রবিবার গভীর রাতে পশ্চিম সিকিমের গেয়জিং জেলার রিম্বি অঞ্চলে একটি পাহাড় ধসে পড়ে। পাহাড়ি মাটি সরে এসে একাধিক বাড়ির উপর চাপা পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চারজনের। নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন। মৃতদের মধ্যে রয়েছে এক মহিলা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ২ জন।

    প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, টানা কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ মারাত্মক হারে বেড়ে গিয়েছে। তার ফলেই পাহাড়ি ঢাল আলগা হয়ে গিয়ে এই বিপর্যয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাতে বিকট শব্দ শুনেই তাঁরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। দেখেন, গোটা একটা পাহাড়ি অংশ নেমে এসেছে নিচের দিকে। এর আগের দিনও একই জেলায় এক কৃষকের মৃত্যু হয় ধসের ঘটনায়। তার গোয়ালে থাকা চারটি গরুও ধসে চাপা পড়ে মারা যায়।

    দার্জিলিং পাহাড়ও রেহাই পায়নি। কার্শিয়ং পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শনিবার গভীর রাতে ধস নামে। সেই ধসে প্রধান রাস্তার একাংশ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। এই রাস্তাটি পুর এলাকার বর্জ্য ফেলার প্রধান রুট হওয়ায়, রবিবার সকালে ময়লা পরিষেবা সম্পূর্ণ থমকে যায়।

    চারদিন ধরে দার্জিলিং, কার্শিয়ং, কালিম্পং অঞ্চলে লাগাতার বৃষ্টিতে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। কুয়াশা ও মাঝারি বৃষ্টিতে আজ সকালেও পাহাড় ঢাকা ছিল। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় আরও কিছু এলাকা ধসপ্রবণ হয়ে উঠতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় বাসিন্দা ও পর্যটকদের যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

    এর আগে মাত্র দুদিন আগেই পশ্চিম সিকিমের রিম্বি এলাকার ইয়াংথাং এলাকায় ধস নামে। তাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও নিখোঁজ হয়ে পড়েন একাধিক পাহাড়বাসী। গত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিম সিকিম পার্বত্য এলাকায় টানা ধস নামছে। নাগাড়ে চলা বৃষ্টিতে হিউম নদী প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। এলাকা বাকি সিকিমের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অস্থায়ী কাঠের সেতু নির্মাণ করে উদ্ধারের কাজ চালানো হচ্ছে।

    চলতি বছর ধসের কারণে একাধিকবার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম পৌঁছনোর এই লাইফলাইন ব্যবহার করতে পারেনি পর্যটকরা। দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন বেড়াতে গিয়ে। সমস্যায় ভুগেছেন স্থানীয়রাও। ধসের কারণেও মাঝে মধ্যেই সিকিমের পার্বত্য এলাকায় আটকে পড়েন পর্যটকরা। ফলে এবারও পুজোয় যারা সিকিম বেড়ানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছেন, তারা আশঙ্কায় ভুগছেন রিম্বির ইয়াংথাম এলাকার ধসের খবর শুনে। 

     
  • Link to this news (আজ তক)