অনুপ কুমার দাস: অবশেষে গ্রেফতার লাদেন। নাবালিকা অপহরণ এবং মেয়ে পাচার এর অভিযোগে চেন্নাই থেকে তাকে গ্রেফতার করে আনল নদিয়ার চাপড়া থানার পুলিস। চেন্নাই থেকে তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে নদিয়ায় আনা হয়েছে। নদিয়ার চাপড়ার বাসিন্দা এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ফোনই তাকে ধরিয়ে দিল। বারবার সিম কার্ড চেঞ্জ করেও কোনও লাভ হল না।
পুলিসের তরফে সাংবাদিকদের জানানো হয়, লাদের বিরুদ্ধে একটি কিডন্যাপের কেস রুজু হয়েছিল। ভিক্টিমের বাড়ি চাপরা থানা এলাকায়। এক ছাত্রীকে নিয়ে অন্য রাজ্যে চলে যায় অভিযুক্ত। তাকে গ্রেফতার করেছে চাপড়া থানার পুলিস।
চাপরা থানার আইসি বলেন, যাকে অপহরণ করা হয়ে সে ক্লাস টেনের ছাত্রী। ওর মা এসে বলে, মেয়েকে পাচ্ছি না। এনিয়ে কোনও ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায় মেয়েটি ওর মায়ের ফোন ব্যবহার করত।। ওর মায়ের ফোন থেকে কিছু সন্দেহজনক নম্বর পাই। সেখান থেকে সন্দেহভাজনের নম্বর পাওয়া যায়। কিন্তু দেখা গেল অভিযুক্ত একাধিকবার তার নম্বর চেঞ্জ করছে। কিন্তু ওর অবস্থান প্রায় একই ছিল। ওটা ছিল চেন্নাই। ওখানে আমাদের যিনি সোর্স ছিলেন তিনি আমাদের একটি জায়গা চিহ্নিত করে দেন। তারপরই অভিযুক্তকে ধরতে সক্ষম হই। তারপর ওকে জেরা করেই মেয়েটি হদিস পাওয়া যায়। এরপর ট্রানজিট রিমান্ডে ওকে আমরা নদিয়ায় নিয়ে এসেছি।
মেয়েটির মায়ের ফোনের কলরেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ছাত্রীটি মঙ্গলকোর্টে ২ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। ওখানে পিন্ডিরা গ্রামে যে যুবকের সন্ধান পাওয়া যায় তার সম্পর্কে খোঁজ নিেয় দেখা যায় সে সেখানে থাকে না। সে কিছুটা অসত্ ধরনের। প্রেমের প্রলোভনে বহু মেয়েকে ফাঁসিয়ে বাইরে নিয়ে চলে যায়।