কিরণ মান্না: ফের সরকারি হাসপাতালে 'ধর্ষণ'। ফ্যাসিলিটি ম্যানেজারে লালসার শিকার অস্থায়ী কর্মী! অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিস। আরজি করের ছায়া এবার পাঁশকুড়ায়।
পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালের ফ্যাসিলিটি ম্যানেজার শেখ জাহির আব্বাস নাকি কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন এক অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীকে! অভিযোগ, ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে উপর চাপ তৈরি করতে নানাভাবে মানসিক অত্যাচার চালানো হত। এমনকী, ভয় দেখানো হত যে, প্রস্তাবে রাজি না হলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। এভাবেই চলছিল।
ওই স্বাস্থ্যকর্মীর দাবি, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় স্টোররুমের ফাঁকা জায়গায় তাঁকে ধর্ষণ করেছেন হাসপাতালের ফ্যাসিলিটি ম্যানেজার। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাসপাতালের অন্যন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাকালে পৌঁছয় পুলিস। আটক করা হয় অভিযুক্তকে। শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। বিজেপির দাবি, অভিযুক্ত জাহির তৃণমূলের মদতপুষ্ট। ওষুধ বিক্রি-সহ হাসপাতালে বিভিন্ন বেআইনি কাজের সঙ্গে সে যুক্ত। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, 'বিরোধীদের অভিযোগ সত্য নয়। অভিযুক্তকে পুলিশ আটক করেছে আইন আইনের পথে চলবে'।
গত বছরের ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনার রুমে উদ্ধার হয় ট্রেইনি ডাক্তারের অর্ধনগ্ন দেহ। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। এরপর হাইকোর্টে নির্দেশে যখন তদন্তে নামে সিবিআই। সেই তদন্তের ভিত্তিতে যখন অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শুনিয়েছে নিম্ম আদালত। যদিও তদন্তে খুশি নন নির্যাতিতার বাবা-মা।