দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: অ্যাপ বাইক চালকের মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ। ছিনতাইকারীদের বাধা দিতে গেলে ওই অ্যাপ বাইক চালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক কোপ দেওয়া হয়! তবে ছিনতাইকারীদের পিছু ছাড়েননি ওই যুবক। তাঁর চেষ্টাতেই পাকড়াও করা হয় দু’জনকে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা অভিযুক্ত দু’জনই নাবালক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর বাইপাসে। কলকাতার উপকণ্ঠে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে দিন কয়েক আগেই এক স্কুলছাত্র তারই সহপাঠীকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ‘খুন’ করে। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে নাবালক। সোনারপুরের ঘটনাতেও অভিযুক্ত দুই নাবালক! ফলে ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শনিবার রাতে সোনারপুর বাইপাসের উপর ওই আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। রাত দেড়টা নাগাদ মালঞ্চ থেকে মল্লিকপুরের দিকে যাচ্ছিলেন মহম্মদ মেহবুব নামে এক অ্যাপ বাইক চালক। রোজই মেহবুব ওই রাস্তা দিয়েই বাড়ি ফেরেন। ঘটনার দিন অনেক রাতে যাত্রী নামিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন বলে খবর। বাইকের সঙ্গে থাকা স্ট্যান্ডে ছিল তাঁর মোবাইল ফোন। অভিযোগ, দুই বাইক আরোহী হঠাৎ করেই তাঁর বাইকের সামনে চলে আসেন। ওই বাইকের একজন ওই মোবাইল টেনে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাই দেখে বাধা দেন মহম্মদ মেহবুব। অভিযোগ, সেসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর পিঠে একাধিকবার আঘাত করা হয়। তাঁকে জখম করে মোবাইল ফোন কেড়ে ওই ছিনতাইকারীরা বাইক চালিয়ে পালায়।
রক্তাক্ত হয়েও অভিযুক্তদের পিছু ধাওয়া করেন ওই যুবক। রাস্তাতেই সাহায্য চেয়ে চিৎকার করতে থাকেন। স্থানীয়রা শেষপর্যন্ত ওই দুই বাইক আরোহীকে পাকড়াও করে ফেলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সোনারপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের পাকড়াও করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানা যায়, অভিযুক্তরা নাবালক। জখম ওই অ্যাপ বাইক চালককে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনাস্থল সংলগ্ন একটি মাঠ থেকে হামলায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। নাবালকরা এভাবে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে! একের পর এক ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে ওয়াকিবহাল মহলে।