‘শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেবানন্দপুরের জন্মভিটে সংস্কার হবে’, কথাশিল্পীর জন্মদিনে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রতিদিন | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের হুগলির দেবানন্দপুরে জন্মভিটে সংস্কার করা হবে। কথাশিল্পীর জন্মদিবসে শ্রদ্ধা জানিয়ে এমনটাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, এই সংস্কারের কাজ করতে ১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাড়াতাড়ি সেই কাজ শুরুও হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেছেন প্রশাসনিক প্রধান। তাঁর কথায়, কিছুদিনের মধ্যেই কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে দেবানন্দপুরও রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে উঠে আসবে। এছাড়াও ‘শরৎ স্মৃতি উদ্যান ও ইনফর্মেশন সেন্টার’ তৈরির ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজকের দিনে ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলির দেবানন্দপুর গ্রামে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম। এই গ্রামে বাল্যজীবন কেটেছে তাঁর। শুধু তাই নয়, এই গ্রাম থেকেই পড়াশোনার অনেকটা সময় কাটিয়েছেন কথাশিল্পী। শুধু তাই নয়, একাধিক গল্প-উপন্যাস দেবানন্দপুরে বসে রচনা করেছেন তিনি। এবার ঐতিহ্যের সেই জন্মভিটে সংস্কারের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সকালেই সোশাল মিডিয়ায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা এবং প্রণাম জানান মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ”বাংলা সাহিত্যের চিরস্মরণীয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর জন্মদিবসে তাঁকে জানাই আমার প্রণাম। তাঁর লেখা বিভিন্ন উপন্যাস ও অন্যান্য রচনায় তিনি সহজ ভাষায় বাঙালি জীবনের সুখ-দুঃখ, প্রেম-বিরহ, সামাজিক অবিচার ও সংস্কারের চিত্র যে দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন তার তুলনা বিশ্বসাহিত্যেই বিরল। তাঁর রচিত ‘শ্রীকান্ত’, ‘পথের দাবী’, ‘দত্তা’, ‘গৃহদাহ’, ‘দেবদাস’-সহ অজস্র রচনা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে এবং তাঁকে অমর করে রেখেছে। ভারতীয় সাহিত্য ও চলচ্চিত্র তাঁর কাছে চিরঋণী।”
সোশাল মিডিয়ায় প্রশাসনিক প্রধান আরও লেখেন, ”আমি গর্বিত, আমাদের রাজ্য সরকার এই প্রবাদপ্রতিম মানুষটির হাওড়ায় রূপনারায়ণের তীরে দেউলটি-সামতাবেড়ে -পানিত্রাস’র বাসস্থান ও হুগলির দেবানন্দপুরের জন্মভিটা- দুটোরই যথাযথ সংস্কার করেছে ও করছে। হাওড়ার দেউলটিতে, তাঁর ‘হেরিটেজ’ বাড়িটিকে আমরা সাজিয়ে দিয়েছি। এটা দেখতে এখন অসংখ্য মানুষ আসেন। তাঁদের সুবিধার জন্য রাস্তা, আলো, পানীয় জলের ব্যবস্থা সহ সবকিছু করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওখানে আমরা একটি ‘শরৎ স্মৃতি উদ্যান ও ইনফর্মেশন সেন্টার’-ও করছি। হুগলির দেবানন্দপুরে জন্মভিটে সংস্কারের জন্য আমরা ১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছি, তাড়াতাড়ি কাজ শুরুও হয়ে যাবে। কিছুদিনের মধ্যে দেবানন্দপুরও রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে আরো উঠে আসবে।”