• বড় প্রতিষ্ঠানে ভিড় জমলেও বাজার ফাঁকাই
    আনন্দবাজার | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বিজ্ঞাপনে ছেয়েছে শহর। টোটোয় মাইক লাগিয়ে প্রচার চালাচ্ছে একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু হঠাৎ-হঠাৎ বৃষ্টিতে ঠিক জমছে না পুজোর বাজার। তার সঙ্গে রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। পর পর দু’টি রবিবার এসএসসি পরীক্ষাও হল। সবমিলিয়ে পুজোর বাজারে ফাঁক থেকে গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, এ বার আবহাওয়া ভাল থাকলে ভিড় হবে পুজো বাজারে। ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তারাও জানাচ্ছেন, বাজারে লোক রয়েছে। বড় প্রতিষ্ঠানে ভিড় বেশি। সব মিলিয়ে পুজোর বাজার ঠিকঠাক।

    কয়েক বছর আগেও বর্ধমান শহর ছিল বি সি রোড কেন্দ্রিক। কার্জন গেট থেকে উত্তর ফটক পর্যন্ত কয়েকটি বাজারের উপরেই বর্ধমান শহর তো বটেই ভাতার, গলসি, আউশগ্রাম, রায়না, খণ্ডঘোষ, জামালপুর, শক্তিগড়, দেওয়ানদিঘি থানার বিভিন্ন গঞ্জ ও গ্রামের বাসিন্দাদের নির্ভর করতে হত। বর্তমানে শহরের ভিতর জিটি রোড চওড়া হয়ে ও তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ডের বদলে নবাবহাট ও আলিশায় দু’টি বাসস্ট্যান্ড তৈরি হওয়ায় বাজার ছড়িয়ে গিয়েছে। কলকাতার বড় বড় বস্ত্রবিপণী সংস্থা বর্ধমানে শাখা খুলেছে। একই ছাদের তলায় মিলছে হরেক সামগ্রী। বর্ধমান চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি শীর্ষেন্দু সাধু বলেন, “আগে বাজারে বিক্রিবাট্টা সম্পর্কে একটা ধারণা থাকত। এখন বাজারে লোক থাকলেও বিক্রি সম্পর্কে ধারণা করা যাচ্ছে না। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভিড় রয়েছে। সে তুলনায় ছোট দোকান বা ফুটপাথে ভিড় কম।” কলকাতার একটি ব্যবসায়িক-প্রতিষ্ঠানের বর্ধমান শাখার কর্ণধার, বড় নীলপুরের কৃষ্ণেন্দু সাহার দাবি, “আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিক্রি ভালই। বৃষ্টি খুব একটা প্রভাব ফেলেনি।” একই কথা বলছেন শহরের আর একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সৈয়দ মহম্মদ। তাঁর কথায়, “৫-৭ হাজার টাকার বেশি দামের শাড়ির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিক্রিতে কোনও হেরফের হচ্ছে না।” বিসি রোডের ‘দত্ত সেন্টারে’র বস্ত্র ব্যবসায়ী তপনকুমার দাসের দাবি, “২০ হাজার টাকার পর্যন্ত শাড়ি বিক্রির চল রয়েছে।” একটি শপিং মলের ম্যানেজার বিশ্বজিৎ দাসও বলেন, “বিক্রি ভালই হচ্ছে।”

    ফুটপাথ বা তুলনায় ছোট ব্যবসায়ীদের দাবি, বৃষ্টি আর পরীক্ষার জন্য পুজোর বাজারে খরিদ্দার এখনও কম। বর্ধমান থানা ভবনের পাশে বস্ত্র বিক্রেতা হেমন্ত কুমার সুরানার দাবি, “বাজার খারাপ, এটা বলা যাবে না। তবে বৃষ্টির একটা প্রভাব রয়েছে। আশা করি কেটে যাবে।’’ তিনি জানান, তসর জামদানি, বিষ্ণুপুরি সিল্ক, মাইসোর সিল্কের চাহিদা রয়েছে। ফুটপাথ-ব্যবসায়ী তপনকুমার দাসের দাবি, “পুজোর ‘স্টক’ রয়েছে। কিন্তু এখনও বাজার সে ভাবে জমেনি।’’ আবার ২২ সেপ্টেম্বর থেকে জিএসটি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, বস্ত্রেও দাম কমবে, সে দিকেও অনেক ক্রেতা তাকিয়ে রয়েছেন। বড় বাজারের এক ব্যবসায়ীর দাবি, “মহালয়ার পরে ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)