রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রায় ন’মাস ধরে ‘নন প্ল্যান, নন স্যালারি’ তহবিলে টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। কর্তৃপক্ষের দাবি, বিভিন্ন খরচ চালাতে সমস্যা বাড়ছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতরে লিখিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে সংশ্লিষ্ট তহবিলে নিয়মিত টাকা বরাদ্দ করার অনুরোধ করেছেন।
রাজ্যপাল নিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য দীপককুমার রায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূলপন্থী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বিরোধ লেগে রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ কেন্দ্র করে রাজ্য ও রাজ্যপালের সঙ্ঘাতেরও অভিযোগ উঠেছে। তাই রাজ্য সরকার অস্থায়ী উপাচার্যের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়কে ওই তহবিলে টাকা বরাদ্দ বন্ধ করেছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণ বলেন, “রাজ্য সরকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও রাজনীতি করে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনও ওই তহবিলে টাকা বরাদ্দ বন্ধ, তা খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
‘নন প্ল্যান, নন স্যালারি’ তহবিলে রাজ্য শিক্ষা দফতর তিন মাস অন্তর বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৬-২০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করত। অভিযোগ, ন’মাস ধরে ওই টাকা মিলছে না। রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকারের দাবি, ওই তহবিলের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বই, খাতা, চক, ডাস্টার ও শিক্ষার বিভিন্ন সামগ্রী কেনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাফাইয়ের কাজের খরচ ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতনের একাশের টাকাও ওই তহবিল থেকে মেটানো হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা পরিচালনা, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি স্তরের পরীক্ষা নিতে বাইরে থেকে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থাকা, খাওয়া এবং যাতায়াতের খরচও এই তহবিল থেকে মেটানো হয়। গত নয় মাস ধরে সেই তহবিলে বিশ্ববিদ্যালয় টাকা না পাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। রেজিস্ট্রারের কথায়, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতি দু’মাস অন্তর নানা খরচ চালানোর জন্য ‘নন প্ল্যান’ নন স্যালারি' তহবিলের টাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগকে দশ হাজার টাকা করে দেন। সেই টাকা দেওয়ার কাজও প্রায় বন্ধের মুখে।”