নয়াদিল্লি: দিল্লিতে বিএমডব্লু গাড়ির বেপরোয়া গতির শিকার সরকারি আমলা। মৃত নভজ্যোত সিং ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সচিব। ঘটনায় গাড়ির চালক গগনপ্রীত কাউরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর জোর করে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরের এক হাসপাতালে আহত নভজ্যোত ও তাঁর স্ত্রীকে ভর্তি করতে বাধ্য করেন গগনপ্রীত। এটি গগনপ্রীতের বাবার হাসপাতাল বলেই খবর। হাসপাতালে নিয়ে গেলে নভজ্যোতকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে। স্ত্রীর সঙ্গে বাইকে করে গুরুদ্বার থেকে ফিরছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সচিব নভজ্যোত। দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি বিএমডব্লু গাড়ি পিছন থেকে তাঁদের ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েন দু’জন। তখনও নভজ্যোতের দেহে প্রাণ ছিল বলেই দাবি স্ত্রীর। দুর্ঘটনায় আহত হন গগনপ্রীত ও তাঁর স্বামীও। সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন অন্য এক মালবাহী গাড়ির চালক। চারজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কাছের কোনও হাসপাতালে নয়, প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁদের। অভিযোগ, এমনটা করতে বাধ্য করেছিলেন গগনপ্রীতই।
নিহত নভজ্যোতের স্ত্রী সন্দীপের বয়ানের ভিত্তিতে সোমবার হাসপাতাল থেকে গগনপ্রীতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই হাসপাতালটির মালিক গগনপ্রীতের বাবা। তাই নিজেদের বাঁচাতে জোর করে আহত নভজ্যোতকে সেখানেই নিয়ে যান তিনি। যদিও এই দাবি সত্যি কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিহত আমলার পরিবারের দাবি, অহেতুক দেরির কারণেই মৃত্যু হয়েছে অর্থমন্ত্রকের সচিব নভজ্যোতের।