বাঙালি যুবকের রুশ স্ত্রী মামলা: ‘অকর্মণ্য’, দিল্লি পুলিসকে সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কার
বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বাঙালি যুবকের রুশ স্ত্রীর পলায়ন মামলায় দিল্লি পুলিসকে সোমবার তুলোধনা করল সুপ্রিম কোর্ট। চন্দননগরের বাসিন্দা সৈকত বসুর নাবালক সন্তান স্তাভ্যকে নিয়ে তাঁর রুশ স্ত্রী ভিক্টোরিয়া জিগালিনা দিল্লি থেকে পালিয়েছেন রাশিয়ার মস্কো। কীভাবে দিল্লিতে থাকা রাশিয়ার দূতাবাস কর্মীর সাহায্যে বিহার থেকে শারজা হয়ে মস্কো পালিয়েছেন ভিক্টোরিয়া, তার বিস্তারিত জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিস। কিন্তু সব জেনেও কেন আটকাতে পারলেন না? সোমবার দিল্লি পুলিসের আইনজীবী কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসেটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাট্টিকে পড়তে হল বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর প্রশ্নের মুখে।
শুনানিতে বাঙালি যুবকের আইনজীবী শুভাশিস ভৌমিকের সওয়াল, পুলিস যখন জানতেই পেরেছে যে ভিক্টোরিয়া মস্কোয় চলে গিয়েছেন, তাহলে কেন তারা সেখানে যাচ্ছে না? কেন উদ্ধার করছে না নাবালককে। যা শুনে বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হেফাজতে ছিল ওই নাবালক। বাবার কাছে সপ্তাহে কয়েকদিন। মায়ের কাছে কয়েকদিন। এইভাবে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নজরদারি করতে বলা হয়েছিল দিল্লি পুলিসকে। কিন্তু তারা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছে। অকর্মণ্য।
রাশিয়ান দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মীকে কেন হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হয়নি? কেন দিল্লিতে রুশজীবী গেল নাুা প্র.া দূতাবাস এবং মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাসের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করে নাবালকে উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ১০ পর ফের শুনানি হবে। তারমধ্যে দিল্লি পুলিস তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট দেবে। বিদেশমন্ত্রক এবং দিল্লি পুলিসের কাছে নাবালক ছেলেটিকে ভারতে ফেরানো চ্যালেঞ্জ হলেও আশা করি তারা সেটি পারবে। মন্তব্য করেন বিচারপতি সূর্য কান্ত।