• সীমান্তে ফেলে পালিয়েছেন খুড়শ্বশুর, অন্তঃসত্ত্বা বাংলাদেশি বউমা গ্রেফতার
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: দুই পুত্রসন্তান সহ বাংলাদেশি বউমাকে সীমান্তে ফেলে পালানোর অভিযোগ খুড়তুতো শ্বশুরের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ ওই অন্তঃসত্ত্বা বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম ফাহিমা আক্তার। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের ওই বাসিন্দা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। রবিবার বাংলাদেশে বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তাঁকে পেট্রাপোল সীমান্তে নিয়ে আসেন খুড়শ্বশুর। কিন্তু একটি হোটেলে বউমা ও নাতিদের বসিয়ে ফল আনতে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যান তিনি। এরপর সারাদিন সীমান্তেই ঘোরাঘুরি করেন ফাহিমা। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে থানায় খবর দেওয়া হয়। পেট্রাপোল থানার পুলিশ আটক করে ফাহিমাকে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা। এদেশে আসার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বাসিন্দা ফাহিমার সঙ্গে ছয় বছর আগে ক্যানিংয়ের বাসিন্দা মিলন শেখের বিয়ে হয়। মিলন ছোটবেলা থেকে মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে থাকতেন। বিয়ের পরও সেখানে থাকতে শুরু করেন। তাঁদের চার বছর ও দুই বছরের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। নয় মাস আগে চোরাপথে স্বামীর সঙ্গে ক্যানিংয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন ফাহিমা। অভিযোগ, এরপর থেকেই তাঁর উপর নানা অত্যাচার শুরু হয়। বাপের বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হয়। রবিবার বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নাম করেই দুই সন্তান সহ অন্তঃসত্ত্বা ফাহিমাকে নিয়ে পেট্রাপোল সীমান্তে আসেন খুড়তুতো শ্বশুর। সেখানে একটি হোটেলে তাঁদেরকে খাওয়ান। এরপর বাড়ির জন্য ফল কিনে নিয়ে আসছেন বলে পালিয়ে যান।

    এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শ্বশুরকে পাননি ওই বধূ। তাঁকে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা মহিলাকে জিজ্ঞাস করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ফাহিমা বলেন, আমাকে ওদেশে পাঠাতে সীমান্তে নিয়ে এসেছিলেন খুড়শ্বশুর। এরপর ফল কেনার নাম করে চলে যান তিনি। সোমবার ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)