• হাবড়া: মহিলা কলেজ চত্বরে নেশার আসর, মুখ খুললেন অধ্যক্ষা
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কলেজের জমি কার্যত ‘দখল’ হয়ে গিয়েছে। সেখানে দিনের পর দিন ধরে চলছে অসাধু কাজ। অভিযোগ, রাত হলেই সেখানে বসছে নেশার আসর। বারে বারে পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। তাই এবার গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন হাবড়ার বাণীপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষা বিদিশা ঘোষ দস্তিদার।

    জানা গিয়েছে, হাবড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাণীপুরে রয়েছে বাণীপুর মহিলা কলেজ। মোট ৮.৭ একর জায়গা তাদের। জমির খাজনাও দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের ভিতরে আছে ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের একটি ক্লাস ঘর। ছাত্রীরা সেখানে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করেন। কলেজের চারদিকে কোনও প্রাচীর না থাকার সুযোগে বহিরাগত যুবকরা কলেজ চত্বরে মদের আসর বসায় বলে অভিযোগ। খোলা মাঠে কলেজ চলাকালীন ঘুরে বেড়ায় গোরু, ছাগল। এমনকী, আড্ডাও বসায় বহিরাগতরা। মাঠের মধ্যে বিভিন্ন নেশার সামগ্রী পড়ে থাকতে দেখা যায় মাঝেমধ্যে। হাবড়ার বাণীপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষা হিসেবে দীর্ঘদিন রয়েছেন বিদিশা ঘোষ দস্তিদার। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি সম্পত্তি বেহাত হতে বসেছে। নষ্ট হচ্ছে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ। অধ্যক্ষা বিদিশা ঘোষ দস্তিদার বলেন, কলেজের ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের একটি ক্লাস ঘর রয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে সমাজসেবামূলক কাজের জন্য এই ক্লাস ঘর ব্যবহার করা হয়। অনেক জিনিসপত্র ওই ঘরে থাকে। বহিরাগতদের দাপটে কলেজের গরিমা নষ্ট হচ্ছে। ছাত্রী ও অধ্যাপকদের সুরক্ষায় চিন্তিত হয়েই আমি হাবড়া থানা ও প্রশাসনের কাছে কয়েকবার জানিয়েছি। কিন্তু সুরাহা হয়নি।

    এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলার তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, কলেজের সীমানার বাইরে কিছুটা দূরে একটি অস্থায়ী মণ্ডপ করেছে এলাকার মানুষ। সারাদিন কাজের পর কেউ কেউ ওই ঘরে ক্যারম খেলে। বিষয়টি নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, কলেজের জমি ছেড়ে সরকারি জমিতেই তিন বছর আগে জমির পাট্টা দিয়েছিল সরকার। আমি অধ্যক্ষাকে বলেছিলাম কলেজের চারদিকে প্রাচীর দিতে। তাহলে বহিরাগতরা কেউ ঢুকতে পারবে না। যদি, কলেজের ফান্ড না থাকে, তাহলে বিধায়ক হিসেবে আমাকে লিখবেন। আমি প্রাচীরের ব্যবস্থা করে দেব। কিন্তু এরপর অধ্যক্ষা আর আমার সঙ্গে দেখা করেননি। কথাও বলেননি। আমি দু’-একদিনের মধ্যে বিডিও’র প্রতিনিধি ও পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসারকে কলেজে পাঠিয়ে খোঁজখবর নেব। এনিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতা তাপস মিত্র বলেন, এটা লজ্জার। কলেজে মদের কথা শুনে অবাকই লাগছে।

    এই প্রসঙ্গে বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার অতীশ বিশ্বাস বলেন, থানায় যদি অভিযোগ হয়ে থাকে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই ব্যবস্থা 

    নেওয়া হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)