মুড়াগাছায় নতুন দু’টি পাম্পিং স্টেশন, নগরোন্নয়ন দপ্তরের বরাদ্দ ৫০ কোটি
বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: সামান্য বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয় রাস্তাঘাট। বর্ষার সময় হাঁটু পেরিয়ে কোমর সমান জলে নাভিশ্বাস ওঠে পানিহাটির বাসিন্দাদের। সমস্যা সমাধানে বহু পরিকল্পনা করা হয়েছে আগেও। পাশাপাশি পরিদর্শনও হয়েছে। এবার সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। মুড়াগাছায় দু’টি পাম্পিং স্টেশন তৈরি করতে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে নগরোন্নয়ন দপ্তর। পুজোর পর কাজ শুরু হবে। পুরসভার কর্তাদের দাবি, কাজ সম্পন্ন হলে পূর্ব পানিহাটি এলাকার ১৫টির বেশি ওয়ার্ডে জল জমা যন্ত্রণার সমাধান হবে। যদিও আশ্বাসে ভুলতে নারাজ শহরবাসী। তাঁদের স্পষ্ট কথা, আগেও এমন বহু প্রকল্প হয়েছে। বহু অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু তা রূপায়ণ সঠিকভাবে না হওয়ায় সমস্যা মেটেনি। এক্ষেত্রেও বিপুল সরকারি টাকার সঠিক রূপায়ণের দাবি তুলেছেন শহরবাসী।
বর্ষা হলেই পানিহাটির এইচবি টাউন, ঘোলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়। জুন মাস থেকে ওই জল অক্টোবর মাস পর্যন্ত থেকে যায়। অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। শহরের পূর্ব পানিহাটি এলাকার জল অপূর্বনগর, খেপলির বিল, খড়দহ খাল হয়ে গঙ্গায় যেত। কিন্তু ক্রমাগত বিল, খাল দখল করে বহুতল তৈরি।
সেইসঙ্গে নিয়মিত খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার না হওয়ায় জল নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুড়াগাছায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমে দু’টি পাম্পিং স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এই দুই পাম্পিং স্টেশনের মাধ্যমে জমা জল পাম্পের মাধ্যমে সাজিরহাট খালে ফেলা হবে। এরপর নোয়াই খাল হয়ে ওই জল বের করা হবে। নগরোন্নয়ন দপ্তর চলতি মাসে দু’টি পাম্পিং স্টেশন তৈরির জন্য ৫০ কোটি ১২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮৩৬ টাকা বরাদ্দ করেছে। পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ দে বলেন, এই কাজ সম্পন্ন হলে সমগ্র পূর্ব পানিহাটির জল জমা সমস্যার সমাধান হবে।