টানা বৃষ্টিতে বড়সড় ধস নামল হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে। মৃত তিন। মঙ্গলবার সকালে মান্ডির নিহরি এলাকায় একটি বাড়ি ধসের তলায় চাপা পড়েছে। মৃতেরা ওই বাড়িরই বাসিন্দা। মান্ডির পুলিশ সুপার সাক্ষী ভার্মা জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টির কারণে মান্ডির ধরমপুর শহরও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। ধরমপুর বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক বাস বৃষ্টির জলের তোড়ে ও কাদায় ভেসে গিয়েছে। সোনখাদ নদীর জলস্তর আচমকা বেড়ে গিয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে। নদীর জল বাস স্ট্যান্ডে প্রবল বেগে ধেয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক সরকারি বাস ভাসিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কেবল সরকারি বাস নয়, অনেক ছোট গাড়ি, মোটরবাইকও ভেসে গিয়েছে জলের তোড়ে। অনেক বাড়ি ও দোকানে জল-কাদা ঢুকে যায়।
পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়নজুলিতে পড়ে গেল গাড়ি। দুর্ঘটনায় গাড়ির চালক-সহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে কোচবিহারের চিলকিরহাটে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়িতে থাকা মৌমিতা দাস প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন (২৮)। তবে দুর্ঘটনায় গাড়ির চালক ধনঞ্জয় বর্মন (২৮)-সহ সঞ্জয় দাস (২৬), অমিত দাস (২৪) পার্থ দাসের (২৪) মৃত্যু হয়েছে।
সাপ পচে যাওয়ার দুর্গন্ধকে কেন্দ্র করে সোনারপুরের সুভাসগ্রাম নতুনপল্লী এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। সেই বিবাদ তীব্র আকার ধারণ করলে শেষ পর্যন্ত ওই এলাকারই বাসিন্দা গুরুদাস মণ্ডলকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
দেরাদুনে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সহস্রধারা নদী প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে অনেক হোটেল এবং দোকানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, দেরাদুনে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পরে দু’জন ব্যক্তির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। উদ্ধারকারী দল তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ মহেশতলায় সন্তোষপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় আগুন লাগে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে ফের ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এর ফলে তামসা নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ভারী বৃষ্টির জন্য তাপকেশ্বর মহাদেব মন্দির চত্বর পুরো প্লাবিত হয়েছে। ভারী বৃষ্টির জন্য হাওয়া অফিস সকাল ৯টা পর্যন্ত দেরাদুনে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।