• ১ টাকায় ১০৫০ একর জমি আদানি গোষ্ঠীকে? বিহারে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কংগ্রেসের...
    আজকাল | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেশি দূরে নয় বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। এখনও নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও উত্তাপ ক্রমশই বাড়ছে বঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্যে। এনডিএ জোটের অন্যতম মূল ভরসা নীতীশ কুমারের জেডিইউ। তাই বিহার হাতছাড়া হলে কেন্দ্রেও মোদির গদি টলমল হতে পারে। একথা ভালই জানে শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষই। বিশেষ করে ইন্ডিয়া জোট এই সুযোগ কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যেই শুরু থেকেই চালিয়ে খেলছে কংগ্রেস এবং আরজেডি। এদিন নতুন করে জেডিইউ এবং বিজেপিকে নিশানা করে কামান দেগেছে কংগ্রেস।

    এদিন কংগ্রেসের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করা হয়, বিহারে রাজনৈতিক ক্ষমতার বলে আদানি গোষ্ঠীকে ১০৫০ একর জমি ‘উপহার’ দিয়েছে সরকার। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসের মিডিয়া সেল-এর প্রধান পবন খেরা অভিযোগ করেন, বিহারের ভাগলপুরের পিরপান্তিতে পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির নামে হাজার একরের বেশি জমি দেওয়া হয়েছে গৌতম আদানিকে। তাও আগামী ৩৩ বছরের জন্য। আর এই বিপুল পরিমাণ জমি দেওয়া হয়েছে মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে! পবন খেরা আরও অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে যাতে স্থানীয়দের বিক্ষোভের সম্মুখীন না হন, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে জোর করে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে অসংখ্য মানুষকে।

    পবন বলেন, “যখন মহারাষ্ট্রে নির্বাচন হচ্ছিল ঠিক তার আগে পাওয়ার প্লান্ট এবং ধারাভি উন্নয়ন প্রকল্প আদানিকে দিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক একই ভাবে ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড় নির্বাচনের আগেও আদানিকে একাধিক প্রকল্প পাইয়ে দেওয়া হয়। এই তালিকা বেশ লম্বা। যখনই বিজেপি কোথাও হারের ভয় পায় তখনই নির্বাচনের আগে আদনিকে কিছু না কিছু উপহার দিয়ে দেয়।” তাঁর আরও অভিযোগ, “এটি ২৪০০ মেগাওয়াটের একটি প্রকল্প। যার আনুমানিক খরচ প্রায় ২১০০০ কোটি টাকা। বাজেটে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়। সেই সময় সরকারই এই প্রকল্পের দায়িত্ব নেয়। কিন্তু কিছুদিন পরেই সরকার পিছু হটে আর প্রকল্পটি আদানির হাতে তুলে দেওয়া হয়।”

    এর পরেই সরকার ‘ডবল লুট’ শুরু করেছে বলে তীব্র আক্রমণ করেন কংগ্রেস মুখপাত্র। তাঁর কথায়, বিহারের মাটিতে, বিহারের টাকায়, বিহারের কয়লা ব্যবহার করেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, আর সেই বিদ্যুৎ বিহারের মানুষের কাছেই ৬ টাকা প্রতি ইউনিট দরে বিক্রি করা হবে।

    কংগ্রেসের আক্রমণের মুখেও অবশ্য মুখে কুলুপ বিজেপির। শুধু আদানি প্রসঙ্গ নয়, ভোটচুরি এবং এসআইআর ইস্যুতেও সুর চড়াচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদব। একের পর এক তোপ দাগছেন বিজেপি-জেডিইউ জোট সরকারের দিকে, কিন্তু শাসক জোট সেই রাস্তায় হাঁটতে নারাজ। ভোটচুরি ইস্যুতে যে বিজেপি অনেকটাই ব্যাকফুটে সে কথা জানে পদ্ম শিবিরও। পাশাপাশি এসআইআর ইস্যুতেও নির্বাচন কমিশন বড় ধাক্কা খেয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বিহারে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যান। সেখানে তিনি কী বলেন তার দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফের মেরুকরণের রাজনীতির দিকেই ঝুঁকেছেন মোদি। এদিনও নিজের ভাষণে ‘বহিরাগত’ তাস খেলেন প্রধানমন্ত্রী। অভিযোগ করেন, বাংলা, বিহার এবং অসমে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে বিরোধীরা।
  • Link to this news (আজকাল)