আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুজোর আগে ট্রেনের টিকিট কাটায় বড় নিয়ম ভারতীয় রেলের! মঙ্গলবার সামনে এসেছে নয়া নিয়মের কথা। কী সেই নিয়ম? তাতে আদতে লাভ হবে কাদের? সাধারণ যাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন রিজার্ভ টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে অভিযোগ, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, নয়া নিয়মে সমাধান হবে সেসব বিষয়ের?
কী সেই নিয়ম?
মঙ্গলবার ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে টিকিট কাটতে গেলে, প্রথম ১৫ মিনিট আধার কার্ড ব্যবহার বাধ্যতামূলক ব্যবহারকারীদের। অর্থাৎ টিকিট বুকিং শুরু হওয়ার প্রথম ১৫ মিনিট আধার কার্ড ছাড়া টিকিট কাটতে পারবেন না ব্যবহারকারীরা।
কেন এই নিয়ম?
জানা গিয়েছে টিকিট বুকিংয়ে জালিয়াতি রুখতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রেল। কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে ট্রেনের টিকিট কাটা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, অননুমোদিত এজেন্টদের দ্বারা স্বয়ংক্রিয় বুকিংয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিয়মিত যাত্রীদের কাছে সীমিত বিকল্প থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে আধার যাচাই বাধ্যতামূলক হওয়ার ফলে, কেবলমাত্র যাচাইকৃত ব্যবহারকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে বুকিং অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
কোথায় থাকবে এই নিয়ম?
তথ্য, নয়া নিয়মে রেলের অধীনস্থ সংস্থা আইআরসিটিসি-র কিংবা কোনও অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিংয়ের সময় প্রযোজ্য হবে এই নিয়ম।
কবে থেকে শুরু হচ্ছে এই নিয়ম?
জানা গিয়েছে, আগামী মাসের প্রথম দিন, অর্থাৎ ১ অক্টোবর থেকে চালু হতে চলেছে টিকিট বুকিংয়ের নতুন নিয়ম। পুজোর মাঝেই চালু হচ্ছে নয়া নিয়ম।
রেলওয়ে বোর্ড সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেমস (CRIS) এবং IRCTC-কে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত আপডেট বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে। নয়া পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য একটি ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারও শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে, এই পদক্ষেপ টিকিট বুকিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে, জাল বুকিং কমাবে এবং আসনগুলি মধ্যস্থতাকারীদের পরিবর্তে সরাসরি প্রকৃত ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছবে তা নিশ্চিত করবে।
বর্তমানে যাত্রীরা ৬০ দিন আগে পর্যন্ত টিকিট বুক করতে পারেন, কিন্তু অবৈধ অপারেটররা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফটওয়্যার ব্যবহার করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিপুল সংখ্যক টিকিট দখল করে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাতে বারেবারে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। নতুন নিয়মটিকে এই সমস্যা মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।