বিশ্বজুড়ে পরিচিত তিনি, ভারতের ধনীতম ইঞ্জিনিয়ারকে চেনেন? তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৯ লক্ষ কোটি টাকা...
আজকাল | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতে ইঞ্জিনিয়ার্স দিবস পালিত হয়। এই দিনটিতে আমরা মহান ইঞ্জিনিয়ার স্যার মোক্ষগুণ্ডম বিশ্বেশ্বরায়ার জন্মবার্ষিকী পালন করে থাকি। এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে ভারতের সবচেয়ে ধনী ইঞ্জিনিয়ার সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক। আপনি জেনে অবাক হবেন যে ভারতের সবচেয়ে ধনী ইঞ্জিনিয়ার হলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি যিনি ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিও।
মুকেশ আম্বানির শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?
ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি মুম্বইয়ের ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজি (আইসিটি) থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। ফোর্বসের মতে, মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০৪ বিলিয়ন ডলার (৯.১৭ লক্ষ কোটি টাকা)। তিনি বিশ্বের ১৮তম ধনী ব্যক্তি। তাঁর কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসা তেল, গ্যাস, পেট্রোকেমিক্যাল, রিটেল, টেলিকম, মিডিয়া এবং আর্থিক পরিষেবা পর্যন্ত বিস্তৃত।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এখন পরিবেশবান্ধব জ্বালানি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে এবং আগামী ১০-১৫ বছরে ৮০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। ধীরুভাই আম্বানির শুরু করা এই কোম্পানিটি আজ মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
মুকেশ আম্বানির যাত্রা
ভারতের ব্যবসায়িক ইতিহাসেও মুকেশ আম্বানির যাত্রাও অন্য রকম। তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পড়াশোনা ছেড়ে তাঁর বাবা ধীরুভাই আম্বানির ব্যবসায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০০৭ সালে তিনি ভারতের প্রথম রুপি ট্রিলিয়নেয়ার হন এবং তারপর থেকে, তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন এবং কেবল দেশেরই নয়, বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পপতি হয়ে উঠেছেন।
স্যার মোক্ষগুণ্ডম বিশ্বেশ্বরায় ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৬১ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালের এপ্রিলে তাঁর প্রয়াণ হয়। তিনি একজন ভারতীয় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, প্রশাসক এবং রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তিনি ১৯১২ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত মাইসোর (পূর্বতন মহীশূর)-এর ১৯তম দেওয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বিশ্বেশ্বরায়কে ভারতে অন্যতম সেরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর জন্মদিন, ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রতি বছর ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং তানজানিয়ায় ইঞ্জিনিয়ার দিবস হিসেবে পালিত হয়। তাঁকে প্রায়শই ‘আধুনিক মাইসোরের নির্মাতা’ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। কন্নড় ভাষার সংবাদপত্র প্রজাভানির মতে, তিনি দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।
বিশ্বেশ্বরায়া ব্রিটিশ ভারত সরকারের জন্য কাজ করার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। বোম্বে প্রেসিডেন্সি এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য ব্রিটিশ-অধিষ্ঠিত উপনিবেশগুলিতে কাজ করেন। পরে তিনি হায়দ্রাবাদ রাজ্যের জন্য কাজও করেছিলেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি তাঁর প্রশাসনিক কর্মজীবন শুরু করেন এবং মহীশূর রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তাঁর কর্মজীবন অব্যাহত রাখেন।
বিশ্বেশ্বরায় ব্রিটিশ ভারত সরকারের একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং পরে মহীশূর রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও কাজ করেছিলেন। মহীশূর রাজ্য এবং ভারত প্রজাতন্ত্রের প্রতি তাঁর অবদানের জন্য, ১৯৫৫ সালে ভারত সরকার তাঁকে ভারতরত্ন প্রদান করে।