• পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে খোঁজ নিতে এবি টিম
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • খড়গপুর পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে খোঁজখবর নিতে শহরে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের টিমের এক সদস্য, তৃণমূল সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। ওই সদস্য খড়গপুর পুরসভার বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে শহরের ৩৫টি ওয়ার্ডেই খোঁজখবর করেছেন বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকটি পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে কলকাতায় অভিষেক ব্যানার্জির অফিসে জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রিভিউ বৈঠকে অসন্তোষ জানানো হয়েছিল।

    খড়গপুর পুরসভা, খড়্গপুরের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের জায়গা। পুরপ্রধান হিসেবে প্রদীপ সরকারের সক্রিয়তা ২০১৯ সালের উপনির্বাচনে তার জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিল। মানুষের কাছে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন প্রদীপ। বর্তমান পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ কি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারছেন, না মানুষের ক্ষোভ পুরসভাকে ঘিরে বাড়ছে, এই বিষয়ে মূলত খোঁজখবর নেওয়া হয়। প্রাক্তন পুরপ্রধান বর্তমানে কাউন্সিলর প্রদীপ সরকার বলেন, আমার কাছে উনি এসেছিলেন। তবে পুরসভা নিয়ে কোনো কথা হয়নি। সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা হয়। খড়গপুর শহরের এক কাউন্সিলর বলেন, আমার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। আবার বি. হরিশ কুমারের মতো কাউন্সিলররা বলেছেন আমাদের কাছে এবির টিম আসেনি। শুনেছি ওরা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।

    পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ বলেন, আমার কাছে এবির টিমের এক সদস্য এসেছিলেন। পুরসভার কাজকর্ম কী রকম চলছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এইটুকুই। এর বেশি আমার কাছে কিছু জানতে চাননি। খড়্গপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা কারো অজানা নয়। পুরসভার কাজকর্ম ঘিরেই এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে আক্রমণ শানায়, কোণঠাসা করার চেষ্টা করে। শহরের রাজনীতি বর্তমানে পুরসভাভিত্তিক। তাই ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে পুরসভার কাজকর্মই যে প্রচারের হাতিয়ার হয়ে উঠবে সেটা বুঝে ঘর গোছানোর কাজে নেমেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)