জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুজোয় কলকাতার ভিড় টানবে কোন কোন প্রতিমা, এই রেশ প্রতিবছর অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। অধিকাংশ বড় পুজোই এবছর ফের একটা প্রতিযোগিতায় ঝাঁপাচ্ছে। কিন্তু কোন পুজো এবার বেশি জমজমাট সেটা দর্শকের প্লাবনে বোঝা যাবে। তবে বেহালা এবার কলকাতার ভিড় অনেকাংশে টেনে নেবে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।
বেহালা নতুন দল
বিশ্বাস করা কঠিন এটা মণ্ডপ। এ যেন পুরো বলিউড হিস্টরিকাল সিনেমার শ্যুটিং সেট। চূড়ান্ত পরিশ্রম করেছেন রনো ব্যানার্জি, অমর সরকার এবং সঞ্জয় ভট্টাচার্য। যেমন মণ্ডপ তেমন প্রতিমা। থিমের নাম শিবানী ধাম বা দুর্গার প্রাসাদ। আলাদা করে থিম বোঝার দরকার নেই। যে যেমন ভাবে নেবে সে তেমন ভাবে মণ্ডপ উপভোগ করবে। তবে চোখ যে ধাঁধিয়ে যাবে একথা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
বড়িশা ক্লাব
আরেক মেগা পুজো বড়িশা ক্লাব। থিমের নাম শুন্য পৃথিবী। বর্ণময় সার্কাসের নেপথ্যের কষ্ট এবং জীবন সংগ্রামের গল্প। সার্কাস উঠে যাচ্ছে। অন্যান্য কর্মীরা অন্য পেশায় চলে গেলেও পড়ে থাকে জোকার। যারা নিজের বুকের কষ্ট চেপে মানুষকে হাসায় আনন্দ দেয় তারাই আজ প্রায় বিরল। সেই যে রাজ কাপুরের মেরা নাম জোকারের গান। সত্যিই ওদের দিন শেষ। শুন্য হৃদয় এবং শুন্য সার্কাসের চেয়ার। জোকারদের কষ্টের রোজনামচা শিল্পীর ভাবনায়।
ঠাকুরপুকুর এসবি পার্ক
অনবদ্য সৃষ্টি ঠাকুরপুকুর এসবি পার্কের। মণ্ডপ যেন আস্ত এক প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা। পশ্চিম মেদিনীপুরের মোগলমারিতে এখনও পর্যন্ত মাত্র ২০ শতাংশ খননকার্য হয়েছে। তাতেই যে সমস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন উঠে এসেছে সেটা তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। সেই প্রতিটি প্রাপ্ত নিদর্শন শিল্পী রাজু সরকার মণ্ডপে বসে মাসের পর মাস তৈরি করেছেন। তবে সবথেকে বড় চমক প্রতিমায়। একটি বিশাল দুর্গা প্রতিমা মিলেছে মাটির তলা থেকে। ৫৫ ফুট উঁচু জেসিবি দিয়ে দেবীর সেই মূর্তি তুলে আনতে গিয়ে ভেঙে গেছে মূর্তির একাংশ। সবটাই যেন নিখুঁত। এককথায় অবিশ্বাস্য।