সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারী নিরাপত্তায় ফের ব্যর্থ বিজেপিশাসিত ওড়িশা। এবার পুরীতে সমুদ্রসৈকতের কাছে এক কলেজপড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। জানা গিয়েছে, প্রেমিকের সঙ্গে বালিহারচণ্ডী মন্দিরের কাছে বসেছিলেন নির্যাতিতা। সেই সময়েই দুই ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতার প্রেমিককে গাছে বেঁধে মারধর করে আরেকজন।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। ভয়ংকর নির্যাতনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে সোমবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ১৯ বছর বয়সি ওই কলেজপড়ুয়া। নির্যাতিতা জানান, শনিবার তিনি বালিহারচণ্ডী মন্দিরের কাছে প্রেমিকের সঙ্গে বসেছিলেন। সেই সময় স্থানীয় তিন ব্যক্তি তাঁদের ভিডিও তোলেন। সেই ভিডিও ডিলিট করতে বলেন নির্যাতিতা। কিন্তু অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি বলেন, ভিডিও ডিলিট করার বিনিময়ে টাকা দিতে হবে। রাজি না হতেই গণধর্ষণ করা হয় ওই ছাত্রীকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এক অভিযুক্ত এখনও পলাতক। গ্রেপ্তারির আগেই অভিযুক্তরা ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছিল বলেই জানিয়েছে পুলিশ। পলাতক অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। জঘন্য ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেডি নেতা তথা ওই এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক সঞ্জয় দাস বর্মা। বিজেপি সরকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি বলেই মত তাঁর।
উল্লেখ্য, মাত্র একবছর আগে ওড়িশায় সরকার গঠন করেছে বিজেপি। তার পর থেকেই সেরাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা লাফিয়ে বেড়েছে। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে গায়ে আগুন দিয়েছিলেন এক ছাত্রী। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। দিনকয়েক আগে গোপালপুরের সমুদ্রসৈকতেও এক কলেজপড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সবমিলিয়ে, ওড়িশায় নারী নিরাপত্তার বেহাল ছবি বারবার প্রকাশ্যে আসছে সাম্প্রতিক অতীতে।