• INDIA ব্লক শাসিত রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকের ওপর হামলা, কোপ ধারালো অস্ত্রের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ফের একবার ভিনরাজ্যে বাঙালি নির্যাতনের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে জেএমএম-কংগ্রেস শাসিত ঝাড়খণ্ডে। জখম যুবকের নাম তাপছেল জমাদার। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ১ নম্বর ব্লকের বয়েরমারি দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আপাতত কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। অভিযোগ, তাপছেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয়েছিল জামশেদপুরে।

    ঠিক কী হয়েছিল? কাজের সূত্রে ওড়িশায় যাচ্ছিলেন তাপছেল। রেলপথে যাওয়ার সময় ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের টাটানগর স্টেশনে নেমেছিলেন তাপছেল এবং তাঁর সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন। সেই সময় তাঁরা নিজেদের মধ্যে বাংলাতেই কথা বলছিলেন। আর সেই সময় শ্রমিকদের ওপর স্থানীয় কয়েকজন যুবক নাকি চড়াও হয়। মারধর করা হয় তাপছেলদের। এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছিল রক্তাক্ত তাপছেলকে। পরে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।

    জানা গিয়েছে, পাঁচবছর ধরে ওড়িশায় নির্মাণকাজ করছেন তাপছেল। কয়েকিন আগে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। এরপর ফের কাজে যোগদান করতে গিয়ে হামলার শিকার হন তিনি। এদিকে তৃণমূলের ধারাবাহিক ভাবে অভিযোগ করে আসছে, বাংলাদেশি সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের ওপার বাংলায় পাঠানো হচ্ছে। ভিনরাজ্যে বাঙালিদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এর আগে অভিযোগ করা হয়েছিল, দিল্লিতে বাংলাদেশি সন্দেহে নাকি একটি আস্ত কলোনিকে 'শাস্তি' দিতে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হেয়েছিল। তাদের নাকি উচ্ছেদও করা হচ্ছিল। যদিও তৃণমূল এই নিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে সরকার লিখিত প্রশ্নের জবাব দিয়েছে সংসদে। তবে এই নিয়ে বাংলার রাজনীতি সরগরম ২০২৬ সালের ভোটের আগে। এই একই ঘটনা অসমে। কারণ, আগামী বছর সেখানেও বাংলার সঙ্গে বিধানসভা ভোট।

    প্রসঙ্গত, বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ থেকে কয়েক লাখ মানুষ চোরা পথে ভারতে অনুপ্রবেশ করে এখানেই বসবাস করছে। দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরু বিভিন্ন জায়গায় এই সব বাংলাদেশিরা কাজ করে। এরপর বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশের বাড়িতে টাকাও পাঠায় তারা। অনেকেই ইদের সময় চোরা পথে বাংলাদেশে গিয়ে কয়েকদিন করে কাটিয়েও আসে। এদের অনেকেই এখানে বিয়ে করেছেন। এই ধরনের অবৈধবাসীদের সম্প্রতি বাংলাদেশে 'পুশ ব্যাক' করছে ভারত। এই নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যেমন ভারতের সংঘাত তৈরি হয়েছে, তেনই দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক সংঘাত বেড়েছে। দিল্লিতে বাংলাদেশি সন্দেহে নাকি একটি আস্ত কলোনিকে শাস্তি দিতে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হেয়েছিল। তাদের নাকি উচ্ছেদও করা হচ্ছিল। যদিও তৃণমূল এই নিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে সরকার লিখিত প্রশ্নের জবাব দিয়েছে সংসদে। তবে এই নিয়ে বাংলার রাজনীতি সরগরম ২০২৬ সালের ভোটের আগে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)