• সব সহ্যের শেষ আছে, প্রকৃতিই এবার জবাব দেবে অত্যাচারের! তৃতীয়া থেকেই দেখবে তিলোত্তমা...
    ২৪ ঘন্টা | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিপন্ন প্রকৃতি, তবুও প্রেমময় পৃথিবী। সত্যিই তো আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরা নির্বিচারে প্রকৃতির ওপর ধ্বংস চালিয়ে এসেছি, আসছিও...প্রকৃতি তার অব্যক্ত যন্ত্রণা নিয়ে অত্যাচার সহ্য করে এসেছে।  সব সহ্যের তো শেষ আছে। যে প্রকৃতি আমাদের ধারণ করে সে, এখন ধ্বংসলীলায় মত্ত হয়ে নিজের স্বাভাবিকতা ফিরে পেতে চাইছে। 

    আর্থিক প্রলোভনে লুব্ধ স্বার্থান্বেষী মানুষ নির্বিচারে বৃক্ষ - ছেদন করে এবং জলাভূমি ভরাট করে প্রাকৃতিক ভারসাম্যের বিনাশ - সাধন করে চলেছে। এর ফলস্বরূপ মানব এবং মানবেতর প্রাণীকূল দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সৎ এবং শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যদি সমবেত প্রচেষ্টায় বৃক্ষ - শিশু রোপন ও জলাভূমি সংস্কারের কর্মসূচি গ্রহণ করে, তবে পৃথিবী আবার প্রেমময় ও পরিপূর্ণ আনন্দঘন হয়ে গড়ে উঠবে।

    রানিপার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি তাদের ৭৭তম বছরে প্রকৃতির বিপন্নতাকেই পুজোর থিম করেছে। সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতা ও শহরতলি বেলঘড়িয়ায় ভালো পুজোর হাব। তার মধ্যে রানিপার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি বেলঘড়িয়া রানিপার্ক কালচারাল সেন্টারের সহযোগিতায় বিষয় ভাবনা এবং বৈচিত্র্যে প্রতিবছরই চমকে দিয়ে থাকে। ৭৭তম বছরও ব্যতিক্রম নয়। মণ্ডপ ভাবনা এবং সৃজনে উৎপল(ছোটকা)। সহ রূপায়নে মহাদেব ও তুষার। মণ্ডপ ভাবনা এবং বৈচিত্র্য এখানে করা হয় সাবেকিয়ানাকে মাথায় রেখে। থিম যেন পূজোর মূল চিন্তাকে আঘাত না করে সেই কথা মাথায় রাখেন উদ্যোক্তারা। 

    'আমরা ভালো পূজোর চেষ্টা করি। আমাদের সাধ্য কম। সাধ অনেক। সাবেকিয়ানায় আস্থা রাখি।  থিম পুজো মণ্ডপ থেকে প্রতিমায় থাকে বটে তবে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের ঐতিহ্যে আঘাত করি না।  সেই ধৃষ্টতা আমাদের নেই।  সেভাবে চিন্তাও করি না।  সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে থিম নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করি ঠিকই। তবে তা দর্শকদের কথা চিন্তা করে।  যাই করি না কেন বাঙালিয়ানা থেকে সরি না।' জানিয়েছেন যুগ্ম সম্পাদক শুভশঙ্কর(পিঙ্কা) রায়। তাঁর কথার রেশ ধরে 

    আরেক যুগ্ম সম্পাদক পার্থ(রাজু) গুহ জানাচ্ছেন,'শারোদৎসব বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব। সবচেয়ে বড় মঞ্চ বার্তা দেওয়ার।  সামাজিক সাংষ্কৃতিক সব দিক থেকেই বড় মঞ্চ। সেখানে উৎসবের আনন্দ যেমন থাকবে তেমনই সামাজিক সচেতনাও থাকবে। আমরা এই প্রকৃতির কোলে বাঁচি। যার কোলে বাঁচছি তাকেই আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়ে ধ্বংস করার কাজ একইভাবে চালিয়ে যাচ্ছি। অব্যক্ত যন্ত্রণা সহ্য করে প্রকৃতি তার ছন্দ ফিরে পেতে চায়।  মনে করিয়ে দিতে চায় অসতর্কতায় ক্ষতিটা নিজেরই করছি। তাই বিপন্নতার কথা যেমন বলছি একই সঙ্গে প্রেমের জয়গানও থাকছে।  কারন প্রেমহীন পৃথিবী মানবিক নয় দানবীয়  হয়ে উঠবে। পৃথিবী হবে বাসের অযোগ্য।'

    ভালো পূজোর পরিস্ফুটনে আলোর ভূমিকা যথেষ্ট। সেখানেও স্থানীয় সংস্থার ওপরেই আস্থা রাখছেন উদ্যোক্তরা। তৃতীয়াতে উদ্বোধন। সাধারনের জন্য খুলে দেওয়া হবে মণ্ডপ। আচার পবিত্রতা মেনে ভালো পূজোর আয়োজনে রানিপার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। সাতাত্তরে তারা বিপন্ন পৃথিবীকে সচেতন করে ডাক জোরালো করতে চায়।  গড়ে তুলতে চায় প্রেমময় পৃথিবী।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)